চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভারতে যেসব বিদেশি নাগরিক ঘুরতে গেছেন এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এর পরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। যদিও জুন পরবর্তী সময়ে কমেছে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড়।গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে প্রায় ৪৭ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেছেন। এর প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ বাংলাদেশি।ভারতে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা পাঁচ দেশ হলো- বাংলাদেশ (২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ), যুক্তরাজ্য (৯ দশমিক ৮২ শতাংশ), কানাডা (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ও অস্ট্রেলিয়া (৪ দশমিক ৩২ শতাংশ)।প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুনে ৭ লাখ ৬ হাজার ৪৫ জন পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেছেন। এ সংখ্যা ২০২৩ সালের জুনের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৯ সালের জুনের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ কম।ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে পর্যটকদের এ সংখ্যা ছিল ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪।
এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি, তবে তা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কম।তবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস ভারতে পর্যটক তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে থাকলেও জুলাই থেকে কমেছে পর্যটক সংখ্যা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের পর্যটন শিল্পে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। ভারতের স্থানীয় অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ভারত ভ্রমণকারী পর্যটকের সংখ্যা ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের যাওয়া পর্যটকদের প্রায় এক-চতুর্থাংশই বাংলাদেশি। এই পর্যটকরা মূলত মেডিকেল ট্যুরিজম বা কেনাকাটার জন্য যান, বিশেষ করে দুর্গাপূজা ও বিয়ের মৌসুমে। তবে এবার বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদল এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারত বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করছে। এছাড়া নতুন করে ভিসা না দেওয়ায় ব্যাপক হারে কমেছে বাংলাদেশি পর্যটক।