ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ আহত ১০

  • স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ
  • আপডেট সময় ০২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

  • Warning: A non-numeric value encountered in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-content/themes/template-pro/template-parts/common/single_two.php on line 103
    ৫৮৬ Time View

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নওগাঁ-৬ (রানীনগর ও আত্রাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রার্থী। রানীনগর উপজেলা বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন (৫০), মাহাবুর হোসেন সুমন (৪৬), রানীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক (৩১), রবিউল ইসলাম (৩৩), আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন (৪৫) ও কাশিমপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মন্ডল (৪৭)।

এছাড়া আহত দুই সমর্থক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আরও দুই জন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের নাম জানাতে পারেননি স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। নওগাঁ-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন ফারুক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাশিমপুর এলাকায় ট্রাক প্রতীকের লোকজন নির্বাচনি প্রচারণায় বের হন।

এ সময় নৌকার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেখানেই দুই পক্ষের ছয় জন আহত হন। এরই জেরে সন্ধ্যায় রানীনগর বাস টার্মিনাল এলাকায় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাত সমর্থক আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আহতরা রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ওমর ফারুক সুমন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী নির্বাচনি প্রচারণার কাজে উপজেলার কাশিমপুর চারাপাড়া এলাকায় গেলে নৌকা প্রার্থীর লোকজনরা তাদেরকে বাধা দিয়ে আটকে রাখেন। পরে স্ত্রীসহ অন্যদের উদ্ধার করতে গেলে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করেন। পরে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করার সময় আবারও রড দিয়ে মারপিট করেন নৌকার লোকজন।

এতে আমরা ১০ জন আহত হয়েছি। এছাড়া উপজেলার জিয়ানীপাড়ায় মালেক ও আনোয়ার নামে আমার দুই সমর্থককে মারপিট করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আনোয়ার ও মালেককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কোনও সমর্থকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলালকে কল দিলেও রিসিভ করেননি। রানীনগর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, মারপিটের ঘটনার পৃথক পৃথক স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

নওগাঁয় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ আহত ১০

আপডেট সময় ০২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নওগাঁ-৬ (রানীনগর ও আত্রাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রার্থী। রানীনগর উপজেলা বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন (৫০), মাহাবুর হোসেন সুমন (৪৬), রানীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক (৩১), রবিউল ইসলাম (৩৩), আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন (৪৫) ও কাশিমপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মন্ডল (৪৭)।

এছাড়া আহত দুই সমর্থক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আরও দুই জন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের নাম জানাতে পারেননি স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। নওগাঁ-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন ফারুক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাশিমপুর এলাকায় ট্রাক প্রতীকের লোকজন নির্বাচনি প্রচারণায় বের হন।

এ সময় নৌকার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেখানেই দুই পক্ষের ছয় জন আহত হন। এরই জেরে সন্ধ্যায় রানীনগর বাস টার্মিনাল এলাকায় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাত সমর্থক আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আহতরা রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ওমর ফারুক সুমন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী নির্বাচনি প্রচারণার কাজে উপজেলার কাশিমপুর চারাপাড়া এলাকায় গেলে নৌকা প্রার্থীর লোকজনরা তাদেরকে বাধা দিয়ে আটকে রাখেন। পরে স্ত্রীসহ অন্যদের উদ্ধার করতে গেলে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করেন। পরে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করার সময় আবারও রড দিয়ে মারপিট করেন নৌকার লোকজন।

এতে আমরা ১০ জন আহত হয়েছি। এছাড়া উপজেলার জিয়ানীপাড়ায় মালেক ও আনোয়ার নামে আমার দুই সমর্থককে মারপিট করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আনোয়ার ও মালেককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কোনও সমর্থকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলালকে কল দিলেও রিসিভ করেননি। রানীনগর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, মারপিটের ঘটনার পৃথক পৃথক স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।