৩ উইকেটে ২২৫ রান তোলা বাংলাদেশ এরপর বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় সংগ্রহে ৫৭ রান যোগ করতেই হারায় আরো ৫ উইকেট। এরমধ্যে আহরার আমিন ৫, মোহাম্মদ শিহাব জেমস ৩, অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বী ২১ এবং রোহানতদৌল্লা বর্ষণ ০ রানে আউট হন। ওপেনিংয়ে নেমে সপ্তম উইকেট পর্যন্ত টিকে থাকা আশিকুর রহমান শিবলী ১৪৯ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১২৯ রান তুলে ম্যাচ সেরা হন। বাংলাদেশের ইনিংসে ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরব আমিরাতের ডান হাতি পেসার আয়ান আহমেদ। দু’টি উইকেট নেন উমিদ রেহমান।
রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর্যাংশ শর্মা এবং অক্ষত রাইকে ফিরিয়ে বোলিংয়ে দাপুটে শুরু করেন মারুফ মৃধা। বাংলাদেশের বাঁ হাতি এই পেসারের শিকার হওয়ার আগে শর্মা ৯ এবং রাই ১১ রান করেন। দলীয় ২৮ রানে দুই উইকেট হারায় ইউএই। এরপর টানা তিন উইকেট নেন রোহানতদৌল্লা বর্ষণ। দলীয় ৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওয়ানডাউন ব্যাটার তানিশ সুরিকে ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান বর্ষণ। ৯.৩ ওভারে ফিরে ইথান ডি’সুজাকে (৪) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন এই বাংলাদেশি পেসার।
১১.৬ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক আয়ান আফজাল খানকে ৫ রানে ফেরান বর্ষণ। ৬ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। তিনটি উইকেট পান মারুফ মৃধাও। ৭ ওভারে ২৯ রান খরচ করেন আসরের যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ (১০) উইকেট শিকারী এই বাঁহাতি পেসার। দুটি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন এবং শেখ পারভেজ জীবন। আরব আমিরাতের ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন চারে নামা ধ্রুব পারাসার। ৪০ বলের অপরাজিত ইনিংসটিতে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান এই ডান হাতি ব্যাটার। ধ্রুব এবং ওপেনার আকশত বাদে আর কেউই ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের কোঠা। ‘ডাক’ রয়েছে দুটি।