মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২(পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা চাওয়া হয়েছে ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর দুপুরে পত্মীতলা উপজেলায় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩০ নভেম্বর ও বিভিন্ন সময় ধামইরহাট উপজেলা চত্বর ও পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকারের উপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার ও ফেস্টুনসহ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন। এছাড়াও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
অপরদিকে গত ৩ ডিসেম্বর ধামইরহাট উপজেলা চত্বর ও পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজার এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেনের উপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডসহ বিভিন্ন রঙিন পোস্টার লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। যা নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১২ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে জনগণের চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
সংসদ নির্বাচনে রাজতৈনিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬ (ঘ) ও ১২নং বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনে ১৮ বিধি মোতাবেক কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে আগামী ১০ ডিসেম্বর দুপুরে পত্মীতলা উপজেলায় সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, এমন কোনো চিঠি আমি পাইনি। তবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কাজ আমি এখন পর্যন্ত করিনি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।