কারাগারে বন্দি থাকা বিএনপি সহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মিদের কারাগারে মানবতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে । বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক । আজ সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরের পানির ট্যাংক এলাকায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন ।
সরকারের পতনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নবম দফা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে এই কর্মসূচি পালন করে গণ অধিকার পরিষদ। সমাবেশের আগে রাজধানীর পুরানা পল্টন, নাইটিংগেল মোড়, নয়াপল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা।
সমাবেশে নুরুল হক অভিযোগ করেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে কারাগারের ‘কনডেম সেলে’ রাখা হয়েছে। তাঁর মতো বিরোধী দলের সাবেক এমপি, মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ অনেক নেতাকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা লকআপে রেখে তাঁদেরকে মানসিক কষ্ট দিচ্ছে, যেন তাঁরা বের হয়ে রাজনীতি না করেন। নুরুল হক বলেন, ‘এটা স্পষ্টতই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন গুণ বেশি বন্দীকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।’
সরকারবিরোধী আন্দোলনে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান নুরুল হক। তিনি বলেন, ভয়ের আর কী আছে? হামলা-মামলা, জেলজুলুম কোনোটার বাকি আছে? আর ভয় পেলে চলবে না। যেখানে যেভাবে প্রতিরোধ করা দরকার, প্রয়োজনে সেভাবেই করতে হবে।
২৮ অক্টোবরের পর রাজশাহী-নাটোর অঞ্চলে ১৮টি গুপ্ত হামলা এবং চারটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। এভাবে হত্যাযজ্ঞ চালানো হলে আওয়ামী লীগের নেতা, এমপি ও মন্ত্রীরা নিরাপদ থাকবেন না বলেও হুঁশিয়ার করেন নুরুল হক। এখন নির্বাচনী আসনের ভাগ–বাঁটোয়ারা চলছে মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগি হয়ে গেছে। তারা আবারও আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিতে নির্বাচনে যাচ্ছে।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, ফাতিমা তাসনিম, আবদুজ জাহের, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, রবিউল হাসান, জিলু খান, আনিসুর রহমান, নারীবিষয়ক সহসম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা প্রমুখ।