ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবরোধে কোথাও বন্ধ শো, কোথাও সিনেমা হল

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধ চলছে প্রায় দুই সপ্তাহ হলো। দেশের নানা সেক্টরে অবরোধের প্রভাব পড়েছে। বাদ যায়নি সিনেমা হলও। দেশের বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহে দর্শক কমে এসেছে অর্ধেকের বেশি।

এমনিতেই কয়েক বছর হলো সিনেমা হলের ব্যবসা মন্দা। তবে ঈদ, পূজা বা বিদেশি ছবি দিয়ে হুটহাট সুবাতাস বয় সিনেমা হলে। যেমন গেল সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় বলিউড কিং শাহরুখ খান অভিনীত ‘জওয়ান’। মুক্তির পর থেকে সিনেমা হলে দর্শকদের জোয়ার শুরু হয়।
বিশেষ করে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। গেল অক্টোবরে মুক্তি পায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি। সেটি দিয়েও দর্শক সমাগম ঘটে সিনেমা হলে। এর আগে অবশ্য ঈদের দুটি সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়েও দর্শকের সাড়া পেয়েছে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু গেল মাসের শেষ থেকে শুরু হওয়া অবরোধে দর্শকের দেখা পাওয়া যেন রীতিমতো অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছে। মাল্টিপ্লেক্স তো বটেই, সিনেমা হলগুলোতেও নেই দর্শক।

রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের ব্যবসায় ধস। প্রতি শোতে দর্শক কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। গেল শুক্রবার মার্ভেলের সিনেমা মুক্তি দিয়েছি। তিনি জানান, সর্বশেষ ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ও ‘জওয়ান’ দিয়ে ভালো ব্যবসা করেছেন তারা। ‘জওয়ান’ এখন চলছে না। কমেছে মুজিব সিনেমার দর্শকও।

এদিকে দর্শক খরার কথা স্বীকার করে রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা হলের ম্যানেজার আহসান উল্লাহ বলেন, “গত শুক্রবার থেকে তারা ‘প্রহেলিকা’ সিনেমাটি চালাচ্ছি। প্রতি শোতে চার-পাঁচজন করে দর্শক হয়। এ কারণে অনেক শো বাতিলও করেছি আমরা।” একই কথা বলেন দেশের সবচেয়ে বড় সিনেমা হল যশোরের মনিহারের ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জানান, তাদের হলে এক হাজার ৪৩০টি আসন। সেটার বিপরীতে ২০-৩০টা টিকিট বিক্রি হয়। তাও প্রতি শোতে নয়। এ কারণে তারা শো বন্ধ রাখেন প্রায়ই।

তিনি বলেন, “আমাদের এখানে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি চলছে। শুরুতে সিনেমাটি দেখতে দর্শক এসেছিলেন। কিন্তু অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভাটা পড়েছে।” এদিকে দর্শক খরার কারণে রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়েছে গেল শুক্রবার থেকে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম বলিউডের সিনেমা ‘টাইগার ৩’ আসবে। কিন্তু সেটার কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। এদিকে দর্শকও তেমন নেই। তাই আপাতত বন্ধ রেখেছি।”

যদিও গত ৩ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে দুটি নতুন ছবি ‘অসম্ভব’ ও ‘মেঘের কপাট’ এবং গেল ১০ নভেম্বর শুক্রবারও মুক্তি পেয়েছে ‘যন্ত্রণা’ নামের আরো একটি নতুন ছবি। হল মালিকদের দাবি, সেসব ছবিতে দর্শকের আগ্রহ কম। এ কারণে সেসব ছবি চালাতে চান না তারা।

 

অবরোধে কোথাও বন্ধ শো, কোথাও সিনেমা হল

আপডেট সময় ০১:০৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধ চলছে প্রায় দুই সপ্তাহ হলো। দেশের নানা সেক্টরে অবরোধের প্রভাব পড়েছে। বাদ যায়নি সিনেমা হলও। দেশের বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহে দর্শক কমে এসেছে অর্ধেকের বেশি।

এমনিতেই কয়েক বছর হলো সিনেমা হলের ব্যবসা মন্দা। তবে ঈদ, পূজা বা বিদেশি ছবি দিয়ে হুটহাট সুবাতাস বয় সিনেমা হলে। যেমন গেল সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় বলিউড কিং শাহরুখ খান অভিনীত ‘জওয়ান’। মুক্তির পর থেকে সিনেমা হলে দর্শকদের জোয়ার শুরু হয়।
বিশেষ করে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। গেল অক্টোবরে মুক্তি পায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি। সেটি দিয়েও দর্শক সমাগম ঘটে সিনেমা হলে। এর আগে অবশ্য ঈদের দুটি সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়েও দর্শকের সাড়া পেয়েছে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু গেল মাসের শেষ থেকে শুরু হওয়া অবরোধে দর্শকের দেখা পাওয়া যেন রীতিমতো অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছে। মাল্টিপ্লেক্স তো বটেই, সিনেমা হলগুলোতেও নেই দর্শক।

রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের ব্যবসায় ধস। প্রতি শোতে দর্শক কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। গেল শুক্রবার মার্ভেলের সিনেমা মুক্তি দিয়েছি। তিনি জানান, সর্বশেষ ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ও ‘জওয়ান’ দিয়ে ভালো ব্যবসা করেছেন তারা। ‘জওয়ান’ এখন চলছে না। কমেছে মুজিব সিনেমার দর্শকও।

এদিকে দর্শক খরার কথা স্বীকার করে রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা হলের ম্যানেজার আহসান উল্লাহ বলেন, “গত শুক্রবার থেকে তারা ‘প্রহেলিকা’ সিনেমাটি চালাচ্ছি। প্রতি শোতে চার-পাঁচজন করে দর্শক হয়। এ কারণে অনেক শো বাতিলও করেছি আমরা।” একই কথা বলেন দেশের সবচেয়ে বড় সিনেমা হল যশোরের মনিহারের ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জানান, তাদের হলে এক হাজার ৪৩০টি আসন। সেটার বিপরীতে ২০-৩০টা টিকিট বিক্রি হয়। তাও প্রতি শোতে নয়। এ কারণে তারা শো বন্ধ রাখেন প্রায়ই।

তিনি বলেন, “আমাদের এখানে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি চলছে। শুরুতে সিনেমাটি দেখতে দর্শক এসেছিলেন। কিন্তু অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভাটা পড়েছে।” এদিকে দর্শক খরার কারণে রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়েছে গেল শুক্রবার থেকে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম বলিউডের সিনেমা ‘টাইগার ৩’ আসবে। কিন্তু সেটার কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। এদিকে দর্শকও তেমন নেই। তাই আপাতত বন্ধ রেখেছি।”

যদিও গত ৩ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে দুটি নতুন ছবি ‘অসম্ভব’ ও ‘মেঘের কপাট’ এবং গেল ১০ নভেম্বর শুক্রবারও মুক্তি পেয়েছে ‘যন্ত্রণা’ নামের আরো একটি নতুন ছবি। হল মালিকদের দাবি, সেসব ছবিতে দর্শকের আগ্রহ কম। এ কারণে সেসব ছবি চালাতে চান না তারা।