পাকিস্তানে যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে ব্যাপারে নজর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ইমরান খান ও তার দলের অবস্থা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এ বিষয়ে পাকিস্তানের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের দৃষ্টি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনেরর দিকে, যাতে পাকিস্তানের মানুষ উপকৃত হয়।
এর আগে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে একমত প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা। ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠত হবে।
প্রেসিডেন্টে কার্যালয় থেকে জানানো হয়, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। এরপর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।মূলত পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশেই তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। কোর্ট ইসিকে নির্দেশ দিয়েছিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান তোশাখানা মামলায় জামিন পেলেও সাইফার মামলায় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বারবার জামিন চেয়েও মুক্তি মিলছে না তার। এমন অবস্থার মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করলো দেশটির নির্বাচন কমিশন।