ইলিশ মাছের ওজন বৃদ্ধি ও পরিপক্বর জন্য নির্ধারিত সময় বেধে দিয়েছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। সে নির্ধারিত সময়ের আগে কতিপয় জেলে বিভিন্ন ভাবে মাছ ধরার পাইতারা করছে । এরই ধারাবাহিকতায় বরিশালে অভিযান চালিয়ে ৩০ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাদের ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন এ তথ্য জানান
মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগে ১৬৩টি অভিযানে ৪২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসব অভিযানে তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ মিটার অবৈধ জাল ও দশমিক ৪০৬ মেট্রিকটন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দ জালের বাজার মূল্য ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জব্দ ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে জব্দ নৌকা, ট্রলার ও মাছধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে এক লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা আয় করা হয়েছে।
এছাড়া বরিশালে ১৫ জন ও ভোলায় ১৫ জনসহ ৩০ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি বরিশাল জেলায় ১০ জন, ভোলায় সাতজন ও ঝালকাঠিতে একজনসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ১৪টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১৯০টি মাছঘাট, ৩৩১টি আড়ত ও ২৫০টি বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।