আজকের ম্যাচটি যদি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হতো তাহলে ক্রিকেট ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রে জায়গা করে নিত। কেননা একদিকে দুর্দান্ত ব্যটিং সমৃদ্ধ দল ভারত। অন্যদিকে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ম্যাচটি আর আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকার অধিকার হারিয়েছে।
ভারত ও ইংল্যান্ড উভয় দলকে এ জন্য দায়ী করা যায়। ভারত এত বেশি দাপটের সঙ্গে খেলছে যে, সব ম্যাচে তারাই ফেভারিট। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের অবস্থা ঠিক তার উল্টো। একেবার পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান তাদের। ভারত টুর্নামেন্টে একমাত্র দল হিসেবে শতভাগ জয় পেয়েছে। একমাত্র অপরাজিত দল তারা। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় তাদের। অন্যদিকে ইংল্যান্ড সমসংখ্যক ম্যাচে এক জয় থেকে দুই পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শেষ বলাই যায়। তবে কাগজে কলমে কিছুটা হয়তো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারত যদি তাদের অপরাজিত থাকার তকমাটা ধরে রাখে তাহলে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের খেলার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে ৬ খেলা থেকে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত হবে।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে এর আগে দুইবার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা নক আউট পর্বে যেতে পারেনি। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল। আর ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডেরও এই দুই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কম করছে না ইংল্যান্ড। দলে থাকা ১৫ খেলোয়াড়ের সবাই দলকে জেতানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। অবস্থা এমন যে সহঅধিনায়ককে দলের বাইরে রাখতে তারা দ্বিধা করছে না। পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে তাকে বাইরে রেখে মাঠে নেমেছে ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে ভারতের অবস্থা ঠিক বিপরীত। কাকে বাইরে রাখবে তা নিয়েই দুঃশ্চিন্তা। হৃদিক পাণ্ডিয়ার ইনজুরি তাদের কিছুটা স্বস্তিতে রেখেছে। কেননা ফিটনেস ফিরে পেলেই তাকে দলে নিতে হবে। অন্য একজনকে তখন বাদ দিতে হবে, যা নির্বাচকদের কাজটা একটু কঠিন করে দেবে। ভারতের কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লেতে ধুম ধাড়াক্কা ব্যাটিং করে দলকে একটা ভালো অবস্থা পৌঁছে দিচ্ছেন। অন্যদিকে জসপ্রিত বুমরাহ বল হাতে ঠিক একই কাজটা করছেন। প্রথম ১০ ওভারে প্রতিপক্ষকে নড়াচড়ার সুযোগ দিচ্ছেন না। এ সময়ে তিনি ওভার প্রতি মাত্র ২.৯০ রান দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
লখনৌর স্টেডিয়ামে এ পর্যন্ত বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সব ম্যাচে স্পিনারদের আধিপত্য ছিল। তবে আজকের পিচে কিছুটা ঘাস থাকায় পেসারদের আধিপত্য থাকার সম্ভাবনা বেশি।