ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের আগাম সবজির দাম আকাশচুম্বী।

প্রতিবছর একদম শুরুতে শীতের আগাম সবজিগুলোর দাম বেশিই থাকে। তবে কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে দাম নাগালের মধ্যে আসে। তবে এবার প্রায় তিন সপ্তাহ পরেও ঢাকার বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিমের মতো কিছু শীতের সবজির দাম আকাশচুম্বী।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর অক্টোবরের শুরু থেকেই শীতকালীন আগাম সবজিতে ভরে ওঠে বাজার। শুরুতে কয়েক সপ্তাহ বেশি থাকলেও কিছুদিন পরে নাগালের মধ্যে আসে। তবে এবার বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশি থাকায় শীতের আগাম সবজির দামও কমছে না। যদি সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বলেও দাবি করেছেন অনেক বিক্রেতা।

অন্যদিকে, সবজির উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় এবার শীতকালীন সবজির তেমন দেখা মিলছে না বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিমের মতো কিছু সবজি বাজারে উঠলেও মোকামগুলোতেও দাম আকাশছোঁয়া।

ঢাকায় কারওয়ান বাজারে বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে কয়েক দফা বৃষ্টিতে চাষে বিলম্ব হওয়ায় সবরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অন্যবার এ সময় খেতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মুলাসহ হরেক রকম শীতকালীন সবজি শোভা পেতো। এবার শীতকালীন সবজি খুব কম জমিতে চাষ হয়েছে।

তিনি জানান, উত্তারাঞ্চলের পাইকারি মোকামে প্রতি কেজি শিম ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ছোট আকারের বাঁধাকপি ও ফুলকপি গড়ে প্রতিটি গড়ে ৩৫-৪০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৩৫-৫০ টাকা, কচুমুখি ৬০, শসা ৪০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০-৪৫ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৩২-৩৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এছাড়া শীতের লাল শাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক গড়ে ৩৬-৪০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে ঢাকার বাজারগুলোতে শিম ১৮০-২০০ টাকা কেজি, ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা পিস, মুলা ৬০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল, ঢেড়স, কচুমুখি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যদিকে, বাজারে জলপাই ৬০ টাকা কেজি। লাল শাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক প্রতি আটি ২০-৩০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

 

ট্যাগস

শীতের আগাম সবজির দাম আকাশচুম্বী।

আপডেট সময় ০৫:০০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

প্রতিবছর একদম শুরুতে শীতের আগাম সবজিগুলোর দাম বেশিই থাকে। তবে কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে দাম নাগালের মধ্যে আসে। তবে এবার প্রায় তিন সপ্তাহ পরেও ঢাকার বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিমের মতো কিছু শীতের সবজির দাম আকাশচুম্বী।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর অক্টোবরের শুরু থেকেই শীতকালীন আগাম সবজিতে ভরে ওঠে বাজার। শুরুতে কয়েক সপ্তাহ বেশি থাকলেও কিছুদিন পরে নাগালের মধ্যে আসে। তবে এবার বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশি থাকায় শীতের আগাম সবজির দামও কমছে না। যদি সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বলেও দাবি করেছেন অনেক বিক্রেতা।

অন্যদিকে, সবজির উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় এবার শীতকালীন সবজির তেমন দেখা মিলছে না বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিমের মতো কিছু সবজি বাজারে উঠলেও মোকামগুলোতেও দাম আকাশছোঁয়া।

ঢাকায় কারওয়ান বাজারে বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে কয়েক দফা বৃষ্টিতে চাষে বিলম্ব হওয়ায় সবরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অন্যবার এ সময় খেতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, মুলাসহ হরেক রকম শীতকালীন সবজি শোভা পেতো। এবার শীতকালীন সবজি খুব কম জমিতে চাষ হয়েছে।

তিনি জানান, উত্তারাঞ্চলের পাইকারি মোকামে প্রতি কেজি শিম ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ছোট আকারের বাঁধাকপি ও ফুলকপি গড়ে প্রতিটি গড়ে ৩৫-৪০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৩৫-৫০ টাকা, কচুমুখি ৬০, শসা ৪০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০-৪৫ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৩২-৩৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এছাড়া শীতের লাল শাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক গড়ে ৩৬-৪০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে ঢাকার বাজারগুলোতে শিম ১৮০-২০০ টাকা কেজি, ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা পিস, মুলা ৬০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল, ঢেড়স, কচুমুখি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অন্যদিকে, বাজারে জলপাই ৬০ টাকা কেজি। লাল শাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক প্রতি আটি ২০-৩০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।