গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান নামে আগ্রাসন শুরু করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরপর দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে তাদেরকে সহায়তা করে আসছে বিশ্ব পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।
এই সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।শাটডাউন এড়াতে দেশটির কংগ্রেসে পাস হওয়া বাজেট চুক্তিতে ইউক্রেনকে আরো সামরিক তহবিল দেওয়ার বিষয়টি বাদ দেওয়ার পর তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
এমনকি মার্কিন মিত্ররা তার এই প্রতিশ্রুতির ওপর ভরসা রাখতে পারে বলেও জানিয়েছেন বাইডেন।গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসে শেষ মুহূর্তের বাজেট চুক্তি থেকে কিয়েভের জন্য আরও সামরিক তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি বাদ দেওয়ার পর ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দিন দু’য়েক আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আরো ৪৫ দিনের জন্য চালু রাখতে ও শাটডাউন এড়াতে একেবারে শেষ মুহূর্তে মার্কিন কংগ্রেসের উভয়কক্ষে তহবিল বিল পাস হয়। তবে সেখানে কিয়েভের জন্য সামরিক সহায়তার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার অন্তর্ভুক্ত ছিল না। যদিও এটিই ছিল হোয়াইট হাউসের অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকার।গণমাধ্যমের খবরে আরো বলা হচ্ছে, কট্টরপন্থী রিপাবলিকানরা ইউক্রেনে আরোসামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছেন। অনেকে আবার এ বিষয়ে প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরোধিতাও করছেন। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন বাইডেন।
এদিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “ইউক্রেন মার্কিন সহায়তার ওপর ‘বিশ্বাস রাখতে পারে’। তার ভাষায়, ‘আমরা কোনও অবস্থাতেই ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তাকে বাধাগ্রস্ত হতে দিতে পারি না।”
তিনি আরো বলেন, “আমি (ইউক্রেনকে) আশ্বস্ত করছি আমরা তাদের পাশে থাকবো। আমরা সেখানে আমাদের কাজ সম্পন্ন করবো। আমি আমাদের আমেরিকান মিত্রদের আশ্বস্ত করতে চাই… আপনারা আমাদের সহায়তার ওপর ভরসা করতে পারেন, আমরা সরে যাবো না।”
জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনের জন্য আরো ২৪০০ কোটি ডলার ছাড় করার অনুরোধ করেছেন।