ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে: মির্জা ফখরুল Logo নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি Logo যাত্রাবাড়ীতে ফের হাসনাত-সারজিসের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা Logo বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ‘মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে’ বাংলাদেশি জেলে আহত Logo সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা না দিয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকাতে হবে: মামুনুল হক Logo ঝালকাঠিতে সম্পত্তি লিখে নিতে বাবাকে ৮ দিন তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা Logo চীন সরকারের আমন্ত্রণে, চীন সফরে গেলেন জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা Logo ১৫ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে লিভারপুলের জয় Logo ২০০ টাকার হিসাব দিতে না পারায় স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর Logo কর ফাঁকির ২ মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি

সাইবার সিকিউরিটি আইন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে নয়: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে তিনি বলেছিলেন দুইটি জিনিস মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র গ্যারান্টি দেয়। অনেকগুলো মৌলিক অধিকারের মধ্যে সেই দুটি মৌলিক অধিকার হলো বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।

জিয়াউর রহমান ও জিএম কাদের সাহেবের ভাই এরশাদ সাহেব এই দুটি মৌলিক অধিকারই নষ্ট করেছিলেন এবং সর্বনাশ করেছিলেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন এবং বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এরশাদ সাহেব ১৯৮২সালে মার্শাল ‘ল’ দিয়ে জনগনের কণ্ঠ রোধ করেছিলেন। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। শেখ হাসিনাকে কারাগারবরণ করতে হয়েছে।
জি.এম. কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম ধারাটি ভালোভাবে পড়ে দেখুন। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার মতো কোনো ধারা নেই। এরশাদ সরকার ও জিয়াউর রহমান দুজনেই মার্শাল ল দিয়ে এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ধংস করে গেছেন। শেখ হাসিনা সাংবাদিদের কল্যাণে কাজ করছেন। যারা সাইবার ক্রাইম করে তাদের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আগেই মিমাংসিত হয়েছে। নতুন ভাবে এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারণে খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পরও তাকে শর্ত স্বাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত রেখে বাসায় থেকে যাবতীয় চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্ত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান, পৌর মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য এম. এ. আজিজ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুনামেন্ট ও জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্ট খেলোয়ারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তিনি উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের নোয়াগাও-চকবস্তা সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। বিকেলে উপজেলা সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারী মহাবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য আইনমন্ত্রীর পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি মরহুম এবি সিদ্দিক স্মরণে ফেন্ডশীপ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

এর আগে সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সাইবার সিকিউরিটি আইন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে নয়: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে তিনি বলেছিলেন দুইটি জিনিস মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র গ্যারান্টি দেয়। অনেকগুলো মৌলিক অধিকারের মধ্যে সেই দুটি মৌলিক অধিকার হলো বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।

জিয়াউর রহমান ও জিএম কাদের সাহেবের ভাই এরশাদ সাহেব এই দুটি মৌলিক অধিকারই নষ্ট করেছিলেন এবং সর্বনাশ করেছিলেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন এবং বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এরশাদ সাহেব ১৯৮২সালে মার্শাল ‘ল’ দিয়ে জনগনের কণ্ঠ রোধ করেছিলেন। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়ামী লীগকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। শেখ হাসিনাকে কারাগারবরণ করতে হয়েছে।
জি.এম. কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম ধারাটি ভালোভাবে পড়ে দেখুন। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার মতো কোনো ধারা নেই। এরশাদ সরকার ও জিয়াউর রহমান দুজনেই মার্শাল ল দিয়ে এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ধংস করে গেছেন। শেখ হাসিনা সাংবাদিদের কল্যাণে কাজ করছেন। যারা সাইবার ক্রাইম করে তাদের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আগেই মিমাংসিত হয়েছে। নতুন ভাবে এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারণে খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পরও তাকে শর্ত স্বাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত রেখে বাসায় থেকে যাবতীয় চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্ত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান, পৌর মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য এম. এ. আজিজ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুনামেন্ট ও জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্ট খেলোয়ারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তিনি উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের নোয়াগাও-চকবস্তা সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। বিকেলে উপজেলা সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারী মহাবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য আইনমন্ত্রীর পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি মরহুম এবি সিদ্দিক স্মরণে ফেন্ডশীপ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

এর আগে সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।