আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ছিপাতলি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিভাগীয় মাদরাসা শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম-৫ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
ডা. দীপু মনি বলেন, “যারা একটি দেশের স্বাধীনতাকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে জাতির জনককে সপরিবারে শেষ করতে চায়, বোমা মেরে মানুষ হত্যা করতে চায় এবং শুধু রাজনৈতিক আদর্শের কারণে গ্রেনেড হামলা করে নারী-শিশুদের হত্যা করতে চায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষার প্রসারে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যেটি আপনাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো সুদৃঢ় করতে ২০১৫ সালে তিনি পৃথক মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করেছেন। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যত প্রকল্প গ্রহণ করি, প্রত্যেকবারে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কারণ সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। অনেকে মনে করেন মাদরাসায় আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিক্ষা দেওয়া হয় না। কিন্তু সেটি বাস্তব নয়।’
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে তিন হাজার মাদরাসায় বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো মাদরাসায় বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এক হাজার ৩৬টি মাদরাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ক্লাব ও ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হয়েছে। শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। মাদরাসায় পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী যাতে সুনাগরিক ও বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে জন্য শিক্ষকদের কাজ করে যেতে হবে।
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, আর যারা মুখে যা বলে, বাস্তবেও তা করে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের সঙ্গে থাকতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধু ইসলামের প্রচার-প্রসারের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তার দিন শুরু হয় তাহাজ্জুদ, ফজরের নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। তিনি ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ ওয়াক্ত আজানের সময় বলি, নামাজের দিকে আসো, কল্যাণের দিকে আসো। তাহলে কল্যাণ কে করেছে? শেখ হাসিনা করেছে। আল্লাহর রাসুল বলেছেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে সুদূর চীন দেশে যাও। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব। এ জন্য আমাদের জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।
ভালো গুণ।