ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo ১০ দিনের সফরে লন্ডনে গেলেন মির্জা ফখরুল Logo গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলা ফিলিস্তিনে, নিহত ১০০ Logo স্বৈরাচারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে: মির্জা ফখরুল Logo নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি Logo যাত্রাবাড়ীতে ফের হাসনাত-সারজিসের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা Logo বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ‘মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে’ বাংলাদেশি জেলে আহত Logo সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা না দিয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকাতে হবে: মামুনুল হক Logo ঝালকাঠিতে সম্পত্তি লিখে নিতে বাবাকে ৮ দিন তালাবদ্ধ করে রাখলেন মেয়েরা Logo চীন সরকারের আমন্ত্রণে, চীন সফরে গেলেন জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা Logo ১৫ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে লিভারপুলের জয়

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৯১ শতাংশই রোহিঙ্গা

কক্সবাজারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৯১ দশমিক ৭৫ শতাংশ রোহিঙ্গা। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৫৮ জন রোহিঙ্গা ও ১৭৬ জন বাংলাদেশি। অন্যদিকে ছয় মাসের মধ্যে ডেঙ্গুতে চার রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ হাজার ৯৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯০৫ জন রোহিঙ্গা ও ১০২ জন ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় মানুষ। এর বাইরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ ৮ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১২৭ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৪ জন স্থানীয় এবং ৫৩ জন রোহিঙ্গা। এছাড়াও ডেঙ্গুতে চার রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্ত বিবেচনায় ৫৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪৩ শতাংশ নারী। এতে শূন্য থেকে ৫ বছরের মধ্যে ৬ শতাংশ, ৬-১৮ বছরের মধ্যে ২১ শতাংশ, ১৯-৪০ বছরের মধ্যে ৬১ শতাংশ, ৪১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ শতাংশ ও ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১ শতাংশ মানুষ পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যাবিদ পংকজ পাল বলেন, গত বছরের (২০২২) তুলনায় এ বছর আক্রান্তের হার নিম্নমুখী। গত বছর কক্সবাজারে ১৯ হাজার ২৩১ জন আক্রান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন রোহিঙ্গা ও ৩ হাজার ৫৮৫ জন স্থানীয়। ডেঙ্গুতে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ২৬ ও স্থানীয় ১৩ জন।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সদর হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো। একই সঙ্গে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকায় পরিচ্ছন্ন রাখা, জমানো পানি থাকলে তা পরিষ্কার করা হচ্ছে।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত রোববার সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মশক নিধন কর্মসূচি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সচেতনতা বৃদ্ধি, পৌরসহ সকল উপজেলা-ইউনিয়নে পরিচ্ছন্নতা অভিযান মনিটরিং, চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

১০ দিনের সফরে লন্ডনে গেলেন মির্জা ফখরুল

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৯১ শতাংশই রোহিঙ্গা

আপডেট সময় ১০:৪৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩

কক্সবাজারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৯১ দশমিক ৭৫ শতাংশ রোহিঙ্গা। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৫৮ জন রোহিঙ্গা ও ১৭৬ জন বাংলাদেশি। অন্যদিকে ছয় মাসের মধ্যে ডেঙ্গুতে চার রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১ হাজার ৯৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯০৫ জন রোহিঙ্গা ও ১০২ জন ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় মানুষ। এর বাইরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ ৮ টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১২৭ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৪ জন স্থানীয় এবং ৫৩ জন রোহিঙ্গা। এছাড়াও ডেঙ্গুতে চার রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্ত বিবেচনায় ৫৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪৩ শতাংশ নারী। এতে শূন্য থেকে ৫ বছরের মধ্যে ৬ শতাংশ, ৬-১৮ বছরের মধ্যে ২১ শতাংশ, ১৯-৪০ বছরের মধ্যে ৬১ শতাংশ, ৪১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ শতাংশ ও ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১ শতাংশ মানুষ পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যাবিদ পংকজ পাল বলেন, গত বছরের (২০২২) তুলনায় এ বছর আক্রান্তের হার নিম্নমুখী। গত বছর কক্সবাজারে ১৯ হাজার ২৩১ জন আক্রান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন রোহিঙ্গা ও ৩ হাজার ৫৮৫ জন স্থানীয়। ডেঙ্গুতে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ২৬ ও স্থানীয় ১৩ জন।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সদর হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো। একই সঙ্গে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকায় পরিচ্ছন্ন রাখা, জমানো পানি থাকলে তা পরিষ্কার করা হচ্ছে।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত রোববার সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মশক নিধন কর্মসূচি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সচেতনতা বৃদ্ধি, পৌরসহ সকল উপজেলা-ইউনিয়নে পরিচ্ছন্নতা অভিযান মনিটরিং, চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।