ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

সবাই অংশ নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো; লিটন

এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে; সবাই অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মনে করেন এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী তিনি।

বুধবার (২১ জুন) সকাল সোয়া ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপশহর এলাকার স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনি ও তার দুই মেয়ে এবং দলীয় নেতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন।

লিটন বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূতভাবে ভোট দিচ্ছেন। নির্বাচনে শতকরা ৬০ ভাগ ভোট পড়বে বলে আশা করি।’

এ সময় বিএনপিসহ অন্য সব দল নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করে লিটন বলেন, তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে হতো। তারা এলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়; একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ভোট বয়কট করেছেন।

নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৫টি। এর মধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব কেন্দ্র চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে ভোটার তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের আছেন ছয়জন। নতুন ৩০ হাজার ১৫৭ জন এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা।

রাজশাহীর সিটি নির্বাচন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিবারই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু। ১৯৯৪ সালে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। টানা দুবারের জয়ে তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে, বুধবারের ভোটে আওয়ামী লীগ জিতলে টানা দুবার এবং সব মিলিয়ে তিনবার মেয়রের চেয়ারে বসবেন খায়রুজ্জামান লিটন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে লিটনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ভোট পড়েছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।

২০১৩ সালে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আওয়ামী লীগের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান লিটনকে। ওইবার ভোট পড়েছিল ৭৬.০৯ শতাংশ।

আর ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী বুলবুলের ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোটের বিপরীতে খায়রুজ্জামান লিটন ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ফলে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবারই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই ভোটযুদ্ধ হয়েছে।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

সবাই অংশ নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো; লিটন

আপডেট সময় ১২:২৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে; সবাই অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মনে করেন এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী তিনি।

বুধবার (২১ জুন) সকাল সোয়া ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপশহর এলাকার স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনি ও তার দুই মেয়ে এবং দলীয় নেতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন।

লিটন বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূতভাবে ভোট দিচ্ছেন। নির্বাচনে শতকরা ৬০ ভাগ ভোট পড়বে বলে আশা করি।’

এ সময় বিএনপিসহ অন্য সব দল নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করে লিটন বলেন, তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে হতো। তারা এলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়; একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ভোট বয়কট করেছেন।

নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৫টি। এর মধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব কেন্দ্র চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে ভোটার তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের আছেন ছয়জন। নতুন ৩০ হাজার ১৫৭ জন এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা।

রাজশাহীর সিটি নির্বাচন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিবারই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু। ১৯৯৪ সালে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। টানা দুবারের জয়ে তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে, বুধবারের ভোটে আওয়ামী লীগ জিতলে টানা দুবার এবং সব মিলিয়ে তিনবার মেয়রের চেয়ারে বসবেন খায়রুজ্জামান লিটন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে লিটনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। ২০১৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ভোট পড়েছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।

২০১৩ সালে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান আওয়ামী লীগের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান লিটনকে। ওইবার ভোট পড়েছিল ৭৬.০৯ শতাংশ।

আর ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী বুলবুলের ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোটের বিপরীতে খায়রুজ্জামান লিটন ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ফলে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবারই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই ভোটযুদ্ধ হয়েছে।