সরকারকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেন আর নিরপেক্ষ সরকার বলেন, যে নামেই ডাকুন, নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের নতুন দায়িত্ব দিন। চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেছেন,
বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি মোড়ে ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষণা উল্লেখ করে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের জন্য আর বিশ্বাস করা যায় না। বিশ্বাস করতে পারি না। সেজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। সবাইকে এক করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এক করতে হবে। সবাইকে এক করতে হবে দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষকে রক্ষা করার জন্য।
তারেক রহমানকে তারুণ্যের প্রতীক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান, তারুণ্যের চোখের মণি হচ্ছে তারেক রহমান। তরুণরা তার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। একটা দুটো নয়, অসংখ্য মামলা। আজকে ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা আছে। যে দেশের একটি গণতান্ত্রিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর ৪০ লাখ মিথ্যা মামলা হয়, সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারে?
সামনের বাংলাদেশ সাম্যের বাংলাদেশ হবে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ম্যাডাম ঘোষণা দিয়েছিলেন মানুষ বাঁচাও, দেশ বাচাঁও। আমাদের নেতা তারেক রহমান ‘ফায়সালা হবে রাজপথে। টেক ব্যাক বাংলাদেশ।’ এ বাংলাদেশ হচ্ছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে আমরা কথা বলতে পারবো। আমার ভোট আমি দিতে পারবো। আমি চাকরি পাবো। আমার সন্তানদের ভবিষ্যত তৈরি হবে। আমার শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। সেই বাংলাদেশ আমরা চাই। যেখানে মানুষ চাকরি পাবে, রুটি রুজির ব্যবস্থা করতে পারবে। সবাই শান্তিতে থাকবে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। গরিব গরিব হবে না। বড়লোক বড়লোক হবে না। কোটিপতি হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করবে না। একটি সাম্যের বাংলাদেশ তৈরি হবে।
খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তরুণরা ভাইয়েরা, দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি। আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এরশাদের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে লড়াই সংগ্রাম করে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। সেই আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে তারা অন্যায়ভাবে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে, সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে কারাগারে অনেকদিন আটক করে রাখা হয়েছিল। আমরা জানি না, কারাগারে তাকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কি না! কারণ তিনি এখন যে অসুস্থ হয়েছেন, তার এমন অসুস্থ হওয়ার কথা নয়। তাকে আবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে। তিনি এখন জীবনমৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।