নওগাঁয় গলি কিংবা নদীর বাঁধ বা জনমানবহীন যে কোনো জায়গা তরুণদের প্রকাশ্যে মাদকসেবন করতে দেখা যায়। কখনো ইনজেকশন আবার কখনো ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা সেবনে জড়াচ্ছে স্কুল, কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
মাদকের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে নওগাঁ। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। শহর থেকে গ্রাম সব জায়গায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। প্রশাসন বলছে, মাদক রোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষার্থীদের মাদকসেবনে জড়ানোর পেছনে মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়োগ করা কিছু তরুণ রয়েছে। যারা প্রথমে ফ্রি মাদক সেবন করায়। পরে আসক্ত হয়ে গেলে তারা নিজেদের ব্যবসা করে। আর মাদকাসক্তরাও মাদকের জন্য বিপথে চলে যায়।
জানা যায়, নওগাঁ জেলার ৫ উপজেলায় সীমান্ত রুট দিয়েই আসছে গাঁজা, ফেনসিডিল হেরোইনসহ নানা মাদকদ্রব্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাদকের চালান ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে গডফাদাররা।
অভিভাবকরা বলেন, মাদকসেবনের ভয়াবহতায় উদ্বিগ্ন তারা।
নওগাঁর সুপ্রভাত মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক মামুনর রশীদ বলেন, ‘বর্তমানে মাদকাসক্ত যারা নিরাময় কেন্দ্রে আসছে কার বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার মো. রাশিদুল হক বলেন, মাদকের ব্যাপারে আমরা কোনো ছাড় দিচ্ছি না। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, মাদক বিস্তার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
নওগাঁ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. লোকমান আলী বলেন, ‘আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে যাচ্ছি। গত দু’মাস আগে প্রায় কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, নওগাঁর আদালতে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আর গত ২ বছরে জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে প্রায় ১২ কোটি টাকার বিভিন্ন মাদক আটক করা হয়।