আর্জেন্টিনার কট্টর নিন্দুকও হয়তো এমন কিছু ভাবেনি। টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে উড়তে থাকা মেসি-ডি মারিয়াদের মাটিতে নামিয়ে আনল র্যাংকিংয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা সৌদি আরব। টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে আসরের প্রথম অঘটনের জন্ম দিল গ্রিন ফ্যালকনরা।
সেই সঙ্গে মেসিদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন বলতে গেলে শুরুতেই দুমড়েমুচড়ে দিল মধ্যপ্রাচ্যের দলটি।
এদিকে, আর্জেন্টিনার এমন হারে বিষাদের ছায়া ভর করেছে মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোরও। আলবিসেলেস্তেদের সমর্থন জানাতে সন্তানদের নিয়ে চলে গিয়েছিলেন মাঠে। লুসাইলের গ্যালারিতে বসে দেখলেন নিজের প্রিয়তম মানুষটির হতাশামাখা মুখ। অথচ চারদিকে ছিল উৎসবের প্রস্তুতি। মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। কিন্তু বিধাতা এদিন লিখে রেখেছিলেন অন্য গল্প। যে গল্পে আকাশি-সাদাদের কেবলই দুঃখ বাড়িয়েছে।
স্টেডিয়ামে বসে আর্জেন্টিনার এমন ভরাডুবি মেনে নিতে পারেননি রোকুজ্জো। তার শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, জুনিয়র মেসিরাও স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন।
ম্যাচ চলাকালে এবং শেষে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একের পর এক পোস্ট দিয়ে হতাশা প্রকাশ করতেও ভুললেন না।
সবশেষ যে পোস্টটি করেছেন সেখানে মেসির হতাশামাখা কয়েকটি ছবি জুড়ে দিয়ে হৃদয়ভাঙার ইমোজি দিয়েছেন ক্যাপশনে। তবে হতাশা ঘিরে ধরলেও খরকুটোর মতো আশার প্রদীপটা আকড়ে ধরতে চাইছেন যেন। আরেকটি পোস্টে মেসির স্ত্রী রোকুজ্জো লিখেছেন, ‘আমরা তোমার সঙ্গেই আছি।’
মেসি নামক ফুটবলের এক মহাতারকা ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সব ট্রফিতেই চুমু খেয়েছেন। তবে অপূর্ণতা কেবল বিশ্বকাপে। এবার নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে সেটির আক্ষেপ ঘুচবে এমন প্রত্যাশা ছিল সবার। তবে শুরুতেই ধাক্কা খেল সে স্বপ্ন।