খুলনা প্রতিনিধি : খুলনায় এবার বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। থেমে নেই মুরগিও। একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমেরও দাম। ঊর্ধ্বমূখী মাছের বাজার।
দাম বৃদ্ধির দিক থেকে সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে পেঁয়াজ। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে এই অতি নিত্যপণ্যটির দাম। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহেও চার কেজি পেঁয়াজ একশত টাকায় বিক্রি হয়েছে।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা গত ১৫ দিন আগেও ৫৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত দু’দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি ব্রয়লার ও কক মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে ১৫০ ও ২৪০ টাকা এবং সোনালি ১০ টাকা বেড়ে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ডিমে ২ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিকেজি ভেড়ার মাংস ৭২০ টাকা ও খাসির মাংস সাড়ে আটশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশে গরু উৎপাদনের পরিমাণ কমে গেছে। আবার বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। সবমিলিয়ে মাংসের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি এই ব্যবসায়ীর।
এছাড়া মাছের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ মাংসের দিকে ঝুঁকছে বেশি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় স্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে মাংসের দাম।
জোড়াকল বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আবুল হোসেন, মনির হোসেন, বাবু বলেন, কোনো কথা ছাড়াই দু’দিন ধরে মুরগির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কারণ হিসেবে তারা জানান, মুরগির বাচ্চা ও খাবারের দাম বেড়েছে। তাই ফার্ম মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন। আমাদের বেশি দামে ক্রয় করে এ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৫০ টাকা, কক ২৪০ টাকা ও সোনালি ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তার দোকানে।
রূপসা উপজেলার খাজুরা গ্রামের মুরগি ব্যবসায়ী মো. বদরুল বলেন, মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবস্তায় খাবারের দাম এক থেকে দেড়শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। লাগামছাড়া সব জিনিসের দাম বেড়েছে।
ডিম এখন প্রতি হালি ৩৮ টাকা। প্রতিপিস নয় টাকার ওপরে। দোলখোলার মুদি দোকানি সবুজ বলেন, গতকাল রাত থেকে এ দাম নির্ধারণ করা হয়। বেশি দমে ক্রয় করে তাকে এ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। না হলে লোকসান গুনতে হবে।
নগরীর জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা রেজাউল, নান্টু, বাদশা জানান, এখন খাল বিল শুকিয়ে গেছে। এ কারণে মোকামগুলোতে মাছের আমদানি খুব কম। মাছের চেয়ে মোকামগুলোতে ব্যাপারীর সংখ্যা বেশি থাকে।
আর এ সুযোগে আড়ত মালিকরা দাম বাড়িয়ে দেন। যার কারণে বাজারে মাছের দাম বেশি। আরও দু’মাস মাছের দাম এরকম থাকতে পারে। তবে বৃষ্টি হলে মাছের দাম কমে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
তাছাড়া ছাগলের চামড়ার কোনো মূল্য নেই। অন্যদিকে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। তাছাড়া কশাইখানায় ছাগল জবাই দিতে আগে যেখানে ২৫ টাকা দিতে হতো এখন সেখানে ৫০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। বর্তমানে তিনি ভেড়ার মাংস ৭২০ ও খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।