বিশ্বকাপের আসল স্বাদ পাওয়া যাবে আজ থেকে। সুপার টুয়েলভের শুরুতেই মাঠে নামছে ক্রিকেট বিশ্বের দুই জায়ান্ট অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এর আগের আসরে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ২০১৬ সালে কলকাতার সেই ফাইনালে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে শিরোপা জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। বেন স্টোকসসের শেষ চার বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ইংলিশদের হৃদয় ভেঙে দেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নেয় উইন্ডিজ।
পাঁচ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের শুরুতেই সেই হৃদয়ভাঙা স্মৃতির সামনে ইয়ন মরগান। ইংলিশ অধিনায়ক জানান, ২০১৬ সালের ফাইনালে হার থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছে তার খেলোয়াড়রা।
গত আসরে হৃদয় ভাঙলেও ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল ইংল্যান্ড। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপও জিতেছে তারা। এবার আরেকটা ইতিহাসের হাতছানি তাদের সামনে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও যদি জেতে তারা তবে বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে টানা দুই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়বে ইংল্যান্ড।
এমন ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার জন্য যে বিশেষ দল দরকার তা রয়েছে ইংলিশদের। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছে তারা। তবে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রিকেটের বাইরে থাকায় নেই ইংল্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। পাঁচ বছর আগে ব্রাথওয়েটের হাতে শিরোপা তুলে দিলেও সেই আক্ষেপ তিনি লাঘব করেছেন ২০১৯ সালে।
এদিকে, উইন্ডিজ তাদের স্কোয়াড সাজিয়েছে তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিশেলে। অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপের জন্য দলে রেখেছেন নিকোলাস পুরান ও আন্দ্রে রাসেলের মতো হিটারদের।
রয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় নাম ৪২ বছর বয়সী ক্রিস গেইল। আসরের সবচেয়ে বড় নাম তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি করে বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশনে নামবে ক্যারিবীয়রা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড কখনো হারাতে পারেনি উইন্ডিজকে। তবে সীমিত ওভারের এই ক্রিকেটে দুই দলের সাক্ষাতে শেষ তিন ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা।