জোরারগঞ্জ প্রতিনিধি : রোববার সকালে জোরারগঞ্জ থানায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জোরারগঞ্জ থানার ওসি মো. নুর হোসেন মামুন জানিয়েছেন।
আটকদের মধ্যে সাতজন নারী, চারজন পুরুষ এবং সাতটি শিশু।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি মামুন ডটকমকে বলেন, “এই রোহিঙ্গারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে সমুদ্রপথে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে। মিরসরাই শিল্পাঞ্চলে নেমে তারা টেকনাফ যাওয়ার চেষ্টা করছিল।”
সকালে রোহিঙ্গা দলটিকে দেখে শিল্পাঞ্চলে কর্মরত আনসার সদস্য ও স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
ওসি মামুন জানান, এ নিয়ে তিন দফায় ৪০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে এ এলাকা থেকে। যারা সবাই ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছিল।
বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে থাকা মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য ভাসানচরে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে কয়েক দফায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে।চলতি বছরে আরও এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার।