অর্থনৈতিক ডেক্স :কয়েকদিন দরপতনের পর আবার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বীমা খাতের কোম্পানিগুলো। এতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পরও মঙ্গলবার (১৫ জুন) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও।
এদিন লেনদেন শুরুতেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পর হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে।
অবশ্য এর মধ্যেও ব্যতিক্রম থাকে বীমা কোম্পানিগুলো। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে বেশিরভাগ বীমা কোম্পানি। ফলে দিনের লেনদেন শেষে বীমা খাতের ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০টির। আর সব খাত মিলে এদিন ডিএসইতে ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৫টির। আর ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এরপরও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৭৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৯২ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কের ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৬৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৩ কোটি ৭ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল পলিমার।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্রগতী ইন্স্যুরেন্স, লুব-রেফ বাংলাদেশ, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, এনার্জি প্যাক পাওয়ার, মীর আক্তার, নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স এবং ফরচুন সুজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৬৭টির দাম কমেছে এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।