বাংলাদেশ টিকা প্রতিরোধী করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের উৎপত্তিস্থল হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, এখনই কঠোর লকডাউন আর বিমানবন্দরে যাত্রীদের আগমন নিয়ন্ত্রণ না করলে টিকা প্রতিরোধী নতুন ধরনের ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে করোভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আক্রান্ত রোগীর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ-এর জন্য হাহাকার রোগীর স্বজনদের।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ শয্যা পেয়েও আইসিইউ-এর জন্য অন্য হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানো হয়েছিল এক রোগীকে। কিন্তু পালস পাওয়া যাচ্ছিল না তার। রোগীকে পুনরায় ফেরানো হয় কুর্মিটোলায়। ততক্ষণে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
রোগীর স্বজনরা বলেন, আমরা আইসিইউ এর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। পাইনি। শেষে শুক্রবার ভোরে তিনি মারা গেছেন।
হাসপাতালের ভেতরেই ভর্তি থাকা অসংখ্য রোগীর আইসিইউ চাহিদা মেটাতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। পরিণতি মৃত্যু। কেউ হাসপাতালে, কেউ আইসিইউ সন্ধানরত অবস্থায় পথেই মারা যাচ্ছে।
এদিকে সংক্রমণের মাত্রা চরমে পৌঁছে যাওয়ায় কোভিড পরীক্ষাতেও নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
ভুক্তভোগীরা বলেন, সিরিয়াল দিয়ে এসেছি। তবুও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাছাড়া সিরিয়াল দিতেও অনেক কষ্ট। বারবার ফোন করলেও ঢুকে না। কল ঢুকলেও কেউ ধরে না।
সংক্রমণের হার অনুযায়ী মৃত্যুর হার এখনও কম বলে মত আইইডিসিআর এর।
এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, মৃত্যুর হার বাড়ছে এটা ঠিক। তবে সংক্রমণের হার বিবেচনায় মৃত্যু এখনো কম।
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৭৪ জন মারা গেছেন বলে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৫২১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৮৫৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩২ জনে।