সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের সব থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। এসব চৌকিতে হালকা মেশিনগান (এলএমজি) নিয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন থানার নিরাপত্তাকর্মীরা।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চলমান পরিস্থিতিতে যে কোনো ধরনের হামলা ঠেকাতে সিলেট মহানগর পুলিশের ছয়টি থানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ি এবং তদন্তকেন্দ্র ও পুলিশের স্থাপনাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব অনুসারে থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রে এলএমজি পোস্ট ও সিমেন্টের বস্তা দিয়ে বিশেষ ধরনের প্রতিরোধব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি থানায় ৩০ থেকে ৫০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, ফরিদপুরের সালথাসহ কয়েকটি থানায় হামলার ঘটনার পর সারাদেশের সব থানাকে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর বুধবার (৭ এপ্রিল) সিলেট জেলা পুলিশ লাইনসে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মহোদয়ের উপস্থিতিতে সিলেট জেলার সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নিয়ে একটি বৈঠক করি আমরা। ওই বৈঠকে জেলার সব থানায় বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এলএমজি চৌকি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি জানান, বুধবার রাত থেকেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে উগ্রবাদী গোষ্ঠী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা। ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পদ নষ্ট করেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) এবিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, এসএমপি’র সব থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। শুধু থানা আর ফাঁড়ি নয়, সরকারি সব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ফোর্স তৈরি রাখা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, সিলেট জেলার আওতাধীন প্রতিটি থানায় সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। থানাগুলোতে এলএমজি সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।