বিনোদন ডেক্স :জমকালো আয়োজনে শেষ হয়েছে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’। এবারের আসরে সেরার মুকুট উঠেছে তানজিয়া জামান মিথিলার মাথায়।
গত শনিবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে তার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল চিত্রাঙ্গদা সিং। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ৬৯তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন মিথিলা।
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’ প্রতিযোগিতা শুরু থেকেই আলোচনায় মিথিলা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছিলেন অডিশনে অংশ নেয়া এক প্রতিযোগী। তারপর থেকে মিথিলাকে নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা। শোনা যায়, এবার মুকুট উঠবে তার মাথায়। অবশেষে কান কথাই সত্যি হয়েছে। বিষয়টিকে ‘পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে।
মিথিলাকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া কয়েকজন প্রতিযোগী। সেসব অভিযোগের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিথিলাকে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ করার জন্য লুকানো হয়েছে তার বয়স। সময় সংবাদের কাছে পাঠানো সেরা দশ প্রতিযোগির তথ্যে সকলের বয়স উল্লেখ থাকলেও নেই মিথিলার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী এবার বয়স সীমা ছিল ২৮। এর বেশি হলে কেউ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু এ প্রতিবেদকের হাতে আসা মিথিলার মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদে দেখা গেছে, তার জন্ম তারিখ ৩১ জানুয়ারি ১৯৯২
তিনি ২০০৭ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করেছেন। শিক্ষা সনদের তারিখ হিসাবে ২০২১ সাল অনুযায়ী মিথিলার বয়স ২৯ বছর। আর প্রতিযোগিতার বছর এবং গ্র্যান্ড ফিনালের তারিখ হিসাব করে মিথিলার বয়স দাঁড়ায় ২৮ বছর ২ মাস।
কীভাবে সে প্রতিযোগিতায় অংশ নিল? জানতে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মিথিলা যে ডকুমেন্টস দিয়েছে তার সঙ্গে আমরা বয়সের পার্থক্য পাচ্ছি। আমরা জাস্টিফাই করছি কোনটা অথেনটিক।
লকডাউন হয়ে যাওয়ায় একটু সময় লাগছে। মিথিলার বয়সের ব্যাপারে গ্র্যান্ড ফিনালে শেষ হওয়ার পর আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, ওর কাছ থেকে আরও ডকুমেন্টস চেয়েছি। যদি মিথিলা বয়স প্রমাণে ব্যর্থ হয় তাহলে মিস ইউনিভার্সের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শোনা যাচ্ছে, এবারের আয়োজনের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের সঙ্গে মিথিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মিথিলার জন্মদিনেও দেখা গেছে ওই ব্যক্তিকে। তার সুবাধেই সেরা করা হয়েছে মিথিলাকে। এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকতে পারে। বিতর্ক এড়ানোর জন্য বিচারকদের নাম্বারের বাইরে গিয়ে অন্য কাউকে সেরা করাটাও কিন্তু এক ধরনের ক্রাইম। আমরা জাজদের রায় চেঞ্জ করতে পারি না।
বিচারকদের রায় পেয়েই মিথিলা এ পর্যন্ত এসেছে। মিথিলা পরিচিত মুখ এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেকে ধরে নিয়েছে এটি সাজানো। কিন্তু বিচারকদের রায়ে মিথিলা সবচেয়ে গ্রুমড প্রতিযোগী। মিস ইউনিভার্স হওয়ার জন্য সে চুল থেকে পা পর্যন্ত নিজেকে তৈরি করেছে।’
বয়স লুকোচুরির বিষয়ে জানতে মিথিলার ব্যক্তিগত নাম্বারে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি তাকে। তার নাম্বারে একাধিক খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি তিনি। জানা গেছে, ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে মিথিলার। সেখানে মিস ইউনিভার্সের মূল আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে হবে ১৬ মে।