নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে বীজ উৎপাদনের জন্য প্রায় ৩শ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে।
আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর চর এলাকায় বেলে ও দোঁআশ মাটিতে সেচের পানি এবং সার ব্যবহার করে এক সময়ের পরিত্যক্ত জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে কৃষকরা সফলতা পাচ্ছেন। তেমনি মাঠজুড়ে প্রসার হচ্ছে এ আবাদ।
এতে যেমন আয় ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি পরিত্যক্ত জমি কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন গরীব চাষিরা।
আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর বিভিন্ন চরে ৫০-৬০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের কোড়া বড় হয়ে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখী ফুলের দৃশ্য দেখতে মানুষ প্রতিদিন জমির পাশে গিয়ে ভিড় করছেন। সূর্যমুখী ফুল চাষিরা এ ফুলের বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চান। তারা মনে করেন, দেশে গড়ে উঠুক সূর্যমুখী বীজের তৈল উৎপাদনের কারখানা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বিনামূল্যে বীজ, সার ও পরামর্শ দিয়ে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদেরকে আগ্রহী করে তুলছেন। আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে মদনডাঙ্গা, তারানগর, হরপুর, বাউল্যাসহ বিভিন্ন এলাকার চর এবং জমিতে এখন হলুদের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের গাছ। হাতছানি দিচ্ছে অবহেলিত এ উপজেলার কৃষকদের স্বপ্ন।
গত বছর এ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ১০ শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বীজ লাগিয়েছিলেন কালিকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামের আনিছার রহমান। সূর্যমুখী ফুলের বীজের ফলনও বেশ ভালো হয়েছিল। আনিছার রহমানের সূর্যমুখীর চাষ দেখে আকৃষ্ট হয়ে একই গ্রামের শামছুর, ফারাজ, লবীরসহ অনেকেই এ বছর সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। গাছ মোটামুটি ভালো হয়েছে। এই গাছগুলোতে কুঁড়ি এসে ফুল ফুটতে শুরু করেছে।
চাষিদের ধারণা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও কোনো রকম রোগ-বালাই না হলে এবার সূর্যমুখী ফুলের বীজের বেশি ফলন হবে।
আত্রাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিজেন্দ্রনাথ বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে আমাদের দেশে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হলেও এ বছর উপজেলায় ৩শ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সূর্যমুখী ফুলের বীজের ভালো ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।