স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ টাকা মূল্যমানের তিন ধরনের স্মারক নোট চালু করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে স্মারক নোট ও ৫০ টাকা মূল্যমান রৌপ্য স্মারক মুদ্রা রয়েছে। যা শুধু সংগ্রহের জন্য নেওয়া যাবে।
এছাড়া ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রচলনযোগ্য স্মারক ব্যাংক নোটও বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা দিয়ে কেনাবেচাসহ সব ধরনের আর্থিক লেনদেন করা যাবে।
২৮ মার্চ থেকে এসব স্মারক ব্যাংক নোট, স্মারক নোট ও রৌপ্য স্মারক মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এবং পরবর্তী সময়ে অন্যান্য শাখা অফিস থেকে বাজারে ছাড়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত বর্তমানে প্রচলিত ৫০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোটে বিদ্যমান রং ও নকশা অপরিবর্তিত রেখে নোটের সামনের পৃষ্ঠের ডানদিকে জলছাপ এলাকার কাছে লাল-সবুজ রঙে একটি স্মারক লোগো সংযোজন করা হয়েছে। এই নোট বিনিময়ের কাজে ব্যবহার করা যাবে।
তবে একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০ টাকা মূল্যের অন্য যে স্মারক নোট ছাড়বে তা শুধু সংরক্ষণের জন্য। এ স্মারক নোটের সামনের দিকের বামপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং নোটের ডানদিকে জলছাপ এলাকার নিকটে স্মারক লোগো মুদ্রিত রয়েছে।
এছাড়া ৫০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৩৮ মিলিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট ও ৯২৫ ফাইন সিলভার দিয়ে নির্মিত রৌপ্য স্মারক মুদ্রাটির ওজন ৩০ গ্রাম। স্মারক মুদ্রাটির সম্মুখভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি (৭ মার্চের ভাষণ), প্রতিকৃতির নিচে মূল্যমান কথায় ও অঙ্কে ‘পঞ্চাশ ৫০ টাকা’ এবং প্রতিকৃতির ওপরে অর্ধবৃত্তাকারভাবে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১’ লেখা রয়েছে। রৌপ্য স্মারক মুদ্রাটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে স্মারক বাক্সসহ ৪ হাজার টাকা।