ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে মাকে হত্যা করলেন মেয়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে রহিমা বেগম (৫৫) নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মেয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে পাপিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের দশানী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রহিমা বেগম ওই এলাকার প্রবাসী সোহেল মিয়ার স্ত্রী।

নিহত রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে পপি আক্তার বলেন, ‘আমার বোন পাপিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মাদক সেবন করে আসছেন। রোববার সকালে মা কাপড় সেলাই করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

এ সময় পাপিয়া এসে তার কাছে টাকা খোঁজেন। মা টাকা দিতে না চাইলে পাপিয়া কাপড় কাটার কাঁচি মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দেন। এতে মা মারা যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাপিয়া প্রায় সময় টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে জ্বালাতন করে আসছে। সে আগেও একাধিকবার মাকে হত্যার চেষ্টা করেছে।’

তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সবুজ বলেন, ‘তারা মা-মেয়েরা মিলে একই সঙ্গে মাদক সেবন করতো। তাদের জন্য এলাকায় অনেক নারী-পুরুষ মাদক সেবনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিল। তাদের বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকটা ক্ষুব্ধ ছিল।’

এ বিষয়ে বাঞ্ছারাপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ে পাপিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ট্যাগস

মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে মাকে হত্যা করলেন মেয়ে

আপডেট সময় ০৪:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে রহিমা বেগম (৫৫) নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মেয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে পাপিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের দশানী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রহিমা বেগম ওই এলাকার প্রবাসী সোহেল মিয়ার স্ত্রী।

নিহত রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে পপি আক্তার বলেন, ‘আমার বোন পাপিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মাদক সেবন করে আসছেন। রোববার সকালে মা কাপড় সেলাই করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

এ সময় পাপিয়া এসে তার কাছে টাকা খোঁজেন। মা টাকা দিতে না চাইলে পাপিয়া কাপড় কাটার কাঁচি মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দেন। এতে মা মারা যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাপিয়া প্রায় সময় টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে জ্বালাতন করে আসছে। সে আগেও একাধিকবার মাকে হত্যার চেষ্টা করেছে।’

তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সবুজ বলেন, ‘তারা মা-মেয়েরা মিলে একই সঙ্গে মাদক সেবন করতো। তাদের জন্য এলাকায় অনেক নারী-পুরুষ মাদক সেবনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিল। তাদের বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকটা ক্ষুব্ধ ছিল।’

এ বিষয়ে বাঞ্ছারাপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ে পাপিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’