ক্রীড়া ডেস্ক: ৯০ মিনিটে ম্যাচ শেষ হয়নি। ২-২ গোলে ড্র। এরপর খেলা গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। কারণ, সেমিফাইনালিস্ট বাছাই করে নিতে হবে। এই অতিরিক্ত সময়ে গোল হলো আরও ৪টি। মোট ৮ গোলের থ্রিলার। ১২০ মিনিট শেষে বিজয়ী দলের নাম বার্সেলোনা। ব্যবধান ৫-৩।
প্রতিপক্ষের নাম গ্রানাডা। কিন্তু বার্সেলোনার ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে তারা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে তো তারা বার্সাকে ২-০ গোলে হারিয়েই দিয়েছিল প্রায়।
৮৮ মিনিটে গ্রিজম্যান এবং ইনজুরি সময়ে যদি জর্দি আলবা গোলটি করতে না পারতেন, তাহলে ২-০ ব্যবধানে হেরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হতো বার্সাকে।
সব মিলিয়ে শ্বাসরূদ্ধকর একটি ম্যাচ ছিল বার্সা এবং গ্রানাডার মধ্যে। বার্সার জন্য ম্যাচটি ছিল অ্যাওয়ে। গ্রানাডার হোম ভেন্যু নুয়েভো লস কারামেন্সে।
ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ধারার বিপরীতে গোল দিয়ে বসে উল্টো স্বাগতিক গ্রানাডাই।
ম্যাচের ৩৩ এবং ৪৭ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল গ্রানাডাই। ৩৩ মিনিটে কেন্ডি এবং ৪৭ মিনিটে গোল করেন রবার্তো সোলদাদো। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে যেন দিশেহারা অবস্থা বার্সার।
একের পর এক চেষ্টা করেও গ্রানাডার জাল খুঁজে পাচ্ছিলেন না লিওনেল মেসিরা।তবে ম্যাচের চিত্র ভোজবাজির মত পাল্টে যায় নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে।
বার্সার মধ্যে যখন পরাজয়ের পুরো হতাশা ভর করছিল, গ্রানাডাও জয়ের আশা ম্যাচে অনেকটাই শিথিলতা তৈরি করেছিল, তখনই সুযোগটা গ্রহণ করে বার্সা।
৮৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেনে আন্তোনিও গ্রিজম্যান। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজবে, ঠিক তার আগেই (৯০+৩ মিনিটে) গ্রানাডার জালে বল জড়িয়ে দিলেন জর্দি আলবা। তার আগেই অবশ্য মেসির একটি শট ফিরে আসে গ্রানাডার পোস্টে লেগে।
ম্যাচ দাঁড়িয়ে গেলো ২-২ গোলের সমতায়। সুতরাং ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। এই অর্ধটা কাটলো বার্সার আধিপত্যের মধ্য দিয়ে।
১০০তম মিনিটে গোল করে বার্সাকে প্রথমবার লিড এনে দেন আন্তোনিও গ্রিজম্যান। এটা তার দ্বিতীয় গোল। এর তিনি মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোল করে গ্রানাডাকে সমতায় ফেরান ফেডে ভিকো।
ম্যাচের ১০৮ মিনিটে বার্সাকে আবারও লিড এনে দিলেন ফ্রাঙ্কি ডি জং। ১১৩তম মিনিটে বার্সার জয় নিশ্চিত করা গোল করেন জর্দি আলবা। ম্যাচে এটা তার দ্বিতীয় গোল। ১২০ মিনিট শেষে ৫-৩ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিওনেল মেসির বার্সেলোনা।