ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫, ১৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম Logo নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই, আল্লাহ ছাড়া কেউ ঠেকাতে পারবে না: সালাহউদ্দিন Logo রিমান্ড শেষে কারাগারে তৌহিদ আফ্রিদি Logo নুরের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রেস সচিব Logo বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo গাজা দখলের পরিণাম ইসরাইলের জন্য হবে ভয়াবহ: হামাস Logo নওগাঁয় রাণীনগরে রাণীনগর অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন Logo স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাচ্ছে খালেদা জিয়া Logo মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে হামলার মূলহোতা গ্রেপ্তার Logo চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে পুতিনের সাথে যোগ দেবেন কিমও

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় নারীসহ দু’জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে নবী হোসেন হত্যা মামলায় নারীসহ দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নিহত নবী হোসেনের পরকীয়া প্রেমিকা সুমনা বেগম ওরফে শিলা (৩০) ও সুমনার সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম (৩৮)।   অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল রাসেল ও মো. শরীফ মিয়াকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমনা বেগম ওরফে শিলা পলাতক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভৈরবের চন্ডিবেড় দক্ষিণপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শিলা। আসামি নজরুলের সঙ্গে শিলার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের বিয়ে হলেও বনিবনা না হওয়ায় সম্পর্কচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে ভৈরব সদরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার কবিরাজ নবী হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে শিলার।

২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর নবী হোসেনকে ফোন করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান শিলা। সেদিন গভীর রাতে শিলার বাসায় নবী হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ ছয় টুকরা করে ভৈরবের কয়েকটি স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত নবী হোসেনের স্ত্রী বিলকিছ বেগম। পুলিশ মরদেহের টুকরোগুলো উদ্ধার করে। পরে মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি চারজনের নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে এ রায় দেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আবু সাঈদ ইমাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ।

ট্যাগস

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় নারীসহ দু’জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০২:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে নবী হোসেন হত্যা মামলায় নারীসহ দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নিহত নবী হোসেনের পরকীয়া প্রেমিকা সুমনা বেগম ওরফে শিলা (৩০) ও সুমনার সাবেক স্বামী নজরুল ইসলাম (৩৮)।   অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল রাসেল ও মো. শরীফ মিয়াকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমনা বেগম ওরফে শিলা পলাতক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভৈরবের চন্ডিবেড় দক্ষিণপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শিলা। আসামি নজরুলের সঙ্গে শিলার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের বিয়ে হলেও বনিবনা না হওয়ায় সম্পর্কচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে ভৈরব সদরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার কবিরাজ নবী হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে শিলার।

২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর নবী হোসেনকে ফোন করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান শিলা। সেদিন গভীর রাতে শিলার বাসায় নবী হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ ছয় টুকরা করে ভৈরবের কয়েকটি স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত নবী হোসেনের স্ত্রী বিলকিছ বেগম। পুলিশ মরদেহের টুকরোগুলো উদ্ধার করে। পরে মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি চারজনের নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে এ রায় দেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আবু সাঈদ ইমাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ।