ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও সতিনের মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুর প্রতিনিধি: দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সাইদুল ইসলাম ও সতিন জমেলা খাতুনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

সাইদুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার ইচাখালী গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে এবং জমেলা খাতুন সাইদুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। নিহত জরিনা খাতুন সাইদুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুন পলাতক রয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের সুরনিশা ভিটার মাঠে আলামিন নামে এক ব্যক্তির মসুরির খেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় জরিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে একই সালের ৩১ জানুয়ারি জরিনা খাতুন নিখোঁজ হয়। উদ্ধারের পর নিহত জরিনার বোন ফেরদৌসী খাতুন মরদেহটি জরিনার বলে শনাক্ত করেন।

পরে তিনি বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১, ৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নম্বর ৭৪/২০১০। জি আর কেস নং ৪৫/২০১০। মামলা দায়েরের পর সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তারা জামিনে ছিলেন।

মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হাসান ইমাম মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে নিহত জরিনার স্বামী সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলাকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন। এতে সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুন দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড  ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

মামলায় সরকার পক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন কাজী শহিদুল হক ও আসামিপক্ষে ছিলেন নারগিস আরা।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও সতিনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৭:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

মেহেরপুর প্রতিনিধি: দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সাইদুল ইসলাম ও সতিন জমেলা খাতুনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

সাইদুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার ইচাখালী গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে এবং জমেলা খাতুন সাইদুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। নিহত জরিনা খাতুন সাইদুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুন পলাতক রয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের সুরনিশা ভিটার মাঠে আলামিন নামে এক ব্যক্তির মসুরির খেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় জরিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে একই সালের ৩১ জানুয়ারি জরিনা খাতুন নিখোঁজ হয়। উদ্ধারের পর নিহত জরিনার বোন ফেরদৌসী খাতুন মরদেহটি জরিনার বলে শনাক্ত করেন।

পরে তিনি বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১, ৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নম্বর ৭৪/২০১০। জি আর কেস নং ৪৫/২০১০। মামলা দায়েরের পর সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তারা জামিনে ছিলেন।

মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হাসান ইমাম মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে নিহত জরিনার স্বামী সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলাকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন। এতে সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুন দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড  ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।

মামলায় সরকার পক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন কাজী শহিদুল হক ও আসামিপক্ষে ছিলেন নারগিস আরা।