স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুই বছর আগে ভেঙে ফেলা হয় বাড়ি। সেখানে কথা ছিল পাকা ঘর উঠানোর। তবে অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক লীগ নেতা ডি এম আব্দুল মজিদ দুলালের দাপটে ঘর করতে পারছেন না ৯০ বছরের বৃদ্ধা নুরজাহান বেগম ।
নুরজাহান বেগম নওগাঁর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের মৃত আরজ উদ্দিনের স্ত্রী। ঘর করতে না পারায় দুই বছর থেকে অনিরাপদ ও উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছেন তিনি।
ডি.এম আব্দুল মজিদ দুলাল জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এবং নওগাঁ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) লাইনম্যান।
জানা গেছে, আরজ উদ্দিনের চার ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে স্ট্রোক করে বিছানাগত, মেজ ও সেজ ছেলে প্রবাসী, ছোট ছেলে মারা গেছেন এবং এক মেয়ে আছেন তিনিও অসুস্থ।
৭০ বছর পূর্বে সাহাপুর গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করে শুরু করেন আরজ উদ্দিন। তিনি ১৯৯০ সালের দিকে মারা যান। এরপর তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
এরইমধ্যে বাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলে প্রবাসী ছেলেরা মায়ের জন্য পাকা বাড়ি করতে চান। এজন্য দুই বছর আগে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। নতুন করে বাড়ি করতে গিয়ে এখন বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরজ উদ্দিনের ভাই ফরেজ উদ্দিনের নাতনী জামাই শ্রমিক লীগ নেতা মজিদ দুলাল প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন। তিনি কিছু জায়গা দখলে নিয়ে টিনের বেড়া দিয়েছেন।
বৃদ্ধা নুরজাহান বেগম বলেন, ছেলেদের ইচ্ছে আমাকে পাকা বাড়ি করে দিবে। প্রতিপক্ষরা কিছু জায়গা দখলে নিয়ে টিনের বেড়া দিয়েছে। এছাড়া আমাকে বাড়িও করতে দেয়া হচ্ছেনা। তারা দরজার সামনে ময়লা-আর্বজনা ফেলে রাখে। নতুন বাড়ি আর চোখে দেখা হবে কিনা জানিনা।
বৃদ্ধার নাতী এ কে এম খশরুজ্জামান বলেন, বাড়িটি বসবাসের জন্য অনুপযোগী হওয়া ভেঙে ফেলা হয়। নতুন করে বাড়ি করতে যাওয়ার সময় শরিকানরা আলাদা অংশ থাকা সত্ত্বেও আমাদের জায়গা দখল নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা যে জমি পাবে এমন কোনো কাগজপত্রও দেখাতে পারছেনা। বিষয়টির সুরাহা চাচ্ছি প্রশাসনের নিকট।
নওগাঁ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ডি.এম আব্দুল মজিদ দুলাল বলেন, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। তারা কাউকে তোয়াক্কা করেন না। আমাদের জমি বুঝিয়ে দিলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। বাড়ি করতে কোন বাঁধা দেয়া হয়নি। তার বাড়ির সামনে কোনো আর্বজনাও ফেলা হয়নি।
স্থানীয় বোয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাসানুর-আল-মামুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপোষের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উভয়পক্ষ আদালতের দারস্থ হতে চেয়েছে।