ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাদেবপুরে অবৈধ সীসা কারখানার  দূষণে নিঃস্ব অনেকে 

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ মাঠে চাষ করার মত জমি নেই। দুই ছেলে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা মোবারক হোসেনের। বয়সের ভারে করতে পারেনা ভারি কোন কাজ।

গত এক বছর যাবৎ একটু একটু করে জমানো টাকা দিয়ে কিনেছেন একটি গুরু-ছাগল। স্বপ্ন ছিল গবাদিপশু কয়েক মাস মোটাতাজা করে বাজারে বিক্রি করে একটু লাভের মুখ দেখবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন চিরতরে বিলিন হয়ে গেল।
নওগাঁর মহাদেবপুরে অবৈধভাবে ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপাদনের কাজ চলছিল একটি কারখানায়। আর এই কারখানা থেকে নির্গত হয় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। তাতে করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা ও গবাদি পশু। নষ্ট হচ্ছে জমির ফসলও। ওই এলাকার মাঠের ঘাস খেয়ে গরু-ছাগল মারা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের শাহাজাতপুরে অবস্থিত মেসার্স হাজেরা রাইচ মিলের চারপাশে টিন দিয়ে ঘেরা সীসা কারখানা। কোনো সাইনবোর্ড না থাকলেও কাছে গেলেই বোঝা যায়; ভেতরে রয়েছে একটি সীসা কারখানা। এখানে পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপাদনের কাজ চলে রাতের অন্ধকারে। কারখানায় ধোঁয়ার কারনে আশপাশের এলাকায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিশেষ করে আশেপাশের জমির ঘাস খেয়ে এ পর্যন্ত মোবারকসহ স্থানীয় ৪ জন কৃষকের ৬টি গরু ও ২টি ছাগল মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় শাহজাদপুর গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন ২০ দিন পূর্বে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন মোটাতাজা করার জন্য। গত ১২ নভেম্বর সকালে গরু ও ছাগল ওই কারখানার পাশে জমিতে ঘাস খাওয়ানোর প্রায় দুই ঘন্টা পর হঠ্যাৎ গরুর মুখ দিয়ে ফেনা উঠতে থাকে। তার পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর গরুটি আমার মারা যায় বলে জানান মোবারক। এর কিছুক্ষণ পর ছাগলটিও বমি করতে করতে মারা যায়। এত দ্রæত মারা যায় যে গরুটির চিকিৎসা করানোর সময়ই পাননি তিনি।

তিনি বলেন, আমি গরীব মানুষ দুই ছেলে ভ্যান চালিয়া জীবিকা নির্বাহ করে। খুব অভাবের সংসার। অনেক কষ্ট করে জমানো টাকা দিয়ে গরুটি কিনেছিলাম। আর ছাগল গত এক মাস পূর্বে ৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। কিছুদিন মোটাতাজা করে বাজারে গরু-ছাগলকে বিক্রি করবো যাতে কিছু টাকা আয় হয়। কিন্তু আমার আয়ের সম্বল শেষ হয়ে গেল। সুস্থ সবল গরু-ছাগল মাঠে ঘাস খাওয়ানোর পরেই মারা গেছে। এর একটিই কারন ব্যাটারি গলানোর কারনে বিষাক্ত ধোঁয়া জমির ঘাসের সাথে মিশে যায় সেটা খাওয়ার কারনেই গরু-ছাগল মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।

মোবারক হোসেনের জামাই শামসুদ্দিন বলেন, গত ১৬ নভেম্বর সকালে সীসা কারখানার পাশের জমিতে আমার তিনটি গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যাই। দুপুরে গরু বাড়িতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর গরু তিনটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। এর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমার তিনটি গরু মারা যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। স্থানীয় মুক্তি চন্দ্রা বলেন, গত সোমবার আমার একটি গরু-ছাগল মারা যায় কারখানার ওখানে জমির ঘাস খেয়ে। কোন রোগ ছিলনা। ঘাস খাওয়ার পর মুখে ফেনা ওঠে মারা যায়। গরু-ছাগল মিলে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সীসা কারখানার মালিক (বগুড়া সদররের বাসিন্দা ) আরিফ হোসেন এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা তো মাত্র চলতি মাসের (নভেম্বর) শুরুর ৭ দিন ব্যাটারি গলিয়ে সীসা উৎপাদন এর কাজ করছিলাম। জাহেরা রাইচ মিলের মালিক এর নিকট থেকে ভাড়া নিয়ে কাজ করছিলাম। পরে স্থানীয়দের নানা অভিযোগের কারনে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে আমার ব্যাটারি গলানোর ধোঁয়া জমির ঘাসে মিশে যাওয়ার কারনে গবাদি পশু সেই ঘাস খেয়ে মারা গেছে তা জানা নেই। সীসা কারখানা চালানোর জন্য প্রশাসনিক অনুমতি ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই তো নিয়মনীতির বাহিরে করছে।

জাহেরা রাইচ মিলের মালিক হেমায়েত হোসেন ঝন্টু বলেন, স্থানীয়দের গবাদি পশু মারা যাচ্ছে সেই সাথে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীদের কাছ থেকে পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ব্যাটারি গলানো বন্ধ করে দেই। যেহেতু রাইচ মিল বন্ধ ছিল আর যারা ব্যাটরি গলানোর জন্য (আরিফ হোসেন) বলেছিল কাগজপত্র বা অনুমতি নেয়া আছে প্রশাসনের কাছ থেকে। অনুমতি নেয়া তাই আমি বিশ্বাস করে কাগজপত্র না দেখেই ভাড়া দিয়েছিলাম। বর্তমানে কারখানা বন্ধ আছে ।

খাজুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল বলেন, অবৈধভাবে ব্যাটারি গলিয়ে সীসা উৎপাদন হচ্ছে জানার পর ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফুল ইসলামকে সেই সীসা কারখানায় কয়েকদিন আগে পাঠালে কারখানার সবাই পালিয়ে যায়। আর যাদের গরু-ছাগল মারা গেছে তারা কেউই যোগাযোগ করে নাই। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দিন বলেন, পর্যাপ্ত নিয়মকানুন না মেনে খোলা পরিবেশে ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপাদনের কারনে সেটার ধোঁয়া পরিবেশে যায়। যা পরিবেশ, মানুষ ও গবাদি পশু-পাখির জন্য মারাত্বক ক্ষতি সাধান করে। গত কিছুদিন পূর্বে জেলার ধামুইরহাটে অবৈধভাবে ব্যাটারি গলিয়ে সীসা উৎপাদনের কারনে সেখানকার ধোঁয়া জমির ঘাসে মিশে বিষাক্ত হয়ে যাওয়ায় সেই ঘাস গরু খেয়ে মারা যায়। নওগাঁতে গরুর রোগ নিয়ন্ত্রণ এর জন্য পরীক্ষাগার নাই। পাশ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটে আছে। তবে যেখানে অবৈধভাবে নিয়ম না মেনে ব্যাটারি গলিয়ে সীসা উৎপাদন করা হবে, সেখানকার আশে পাশের জমির ঘাস যদি গবাদিপশু যদি খায় তবে অবশ্যই গবাদিপশুর মারাত্বক ক্ষতি হবে। এমন কি প্রাণহানিও হতে পারে কারন সেটা বিষাক্ত হয়ে যায়।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান মিলন জানান, অবৈধ সীসা কারখানার বিষয়ে জানা নেই। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস

মহাদেবপুরে অবৈধ সীসা কারখানার  দূষণে নিঃস্ব অনেকে 

আপডেট সময় ০৫:২৩:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ মাঠে চাষ করার মত জমি নেই। দুই ছেলে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা মোবারক হোসেনের। বয়সের ভারে করতে পারেনা ভারি কোন কাজ।

গত এক বছর যাবৎ একটু একটু করে জমানো টাকা দিয়ে কিনেছেন একটি গুরু-ছাগল। স্বপ্ন ছিল গবাদিপশু কয়েক মাস মোটাতাজা করে বাজারে বিক্রি করে একটু লাভের মুখ দেখবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন চিরতরে বিলিন হয়ে গেল।
নওগাঁর মহাদেবপুরে অবৈধভাবে ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপাদনের কাজ চলছিল একটি কারখানায়। আর এই কারখানা থেকে নির্গত হয় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। তাতে করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা ও গবাদি পশু। নষ্ট হচ্ছে জমির ফসলও। ওই এলাকার মাঠের ঘাস খেয়ে গরু-ছাগল মারা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের শাহাজাতপুরে অবস্থিত মেসার্স হাজেরা রাইচ মিলের চারপাশে টিন দিয়ে ঘেরা সীসা কারখানা। কোনো সাইনবোর্ড না থাকলেও কাছে গেলেই বোঝা যায়; ভেতরে রয়েছে একটি সীসা কারখানা। এখানে পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপাদনের কাজ চলে রাতের অন্ধকারে। কারখানায় ধোঁয়ার কারনে আশপাশের এলাকায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিশেষ করে আশেপাশের জমির ঘাস খেয়ে এ পর্যন্ত মোবারকসহ স্থানীয় ৪ জন কৃষকের ৬টি গরু ও ২টি ছাগল মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় শাহজাদপুর গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন ২০ দিন পূর্বে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন মোটাতাজা করার জন্য। গত ১২ নভেম্বর সকালে গরু ও ছাগল ওই কারখানার পাশে জমিতে ঘাস খাওয়ানোর প্রায় দুই ঘন্টা পর হঠ্যাৎ গরুর মুখ দিয়ে ফেনা উঠতে থাকে। তার পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর গরুটি আমার মারা যায় বলে জানান মোবারক। এর কিছুক্ষণ পর ছাগলটিও বমি করতে করতে মারা যায়। এত দ্রæত মারা যায় যে গরুটির চিকিৎসা করানোর সময়ই পাননি তিনি।

তিনি বলেন, আমি গরীব মানুষ দুই ছেলে ভ্যান চালিয়া জীবিকা নির্বাহ করে। খুব অভাবের সংসার। অনেক কষ্ট করে জমানো টাকা দিয়ে গরুটি কিনেছিলাম। আর ছাগল গত এক মাস পূর্বে ৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। কিছুদিন মোটাতাজা করে বাজারে গরু-ছাগলকে বিক্রি করবো যাতে কিছু টাকা আয় হয়। কিন্তু আমার আয়ের সম্বল শেষ হয়ে গেল। সুস্থ সবল গরু-ছাগল মাঠে ঘাস খাওয়ানোর পরেই মারা গেছে। এর একটিই কারন ব্যাটারি গলানোর কারনে বিষাক্ত ধোঁয়া জমির ঘাসের সাথে মিশে যায় সেটা খাওয়ার কারনেই গরু-ছাগল মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।

মোবারক হোসেনের জামাই শামসুদ্দিন বলেন, গত ১৬ নভেম্বর সকালে সীসা কারখানার পাশের জমিতে আমার তিনটি গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যাই। দুপুরে গরু বাড়িতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর গরু তিনটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। এর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমার তিনটি গরু মারা যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। স্থানীয় মুক্তি চন্দ্রা বলেন, গত সোমবার আমার একটি গরু-ছাগল মারা যায় কারখানার ওখানে জমির ঘাস খেয়ে। কোন রোগ ছিলনা। ঘাস খাওয়ার পর মুখে ফেনা ওঠে মারা যায়। গরু-ছাগল মিলে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সীসা কারখানার মালিক (বগুড়া সদররের বাসিন্দা ) আরিফ হোসেন এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা তো মাত্র চলতি মাসের (নভেম্বর) শুরুর ৭ দিন ব্যাটারি গলিয়ে সীসা উৎপাদন এর কাজ করছিলাম। জাহেরা রাইচ মিলের মালিক এর নিকট থেকে ভাড়া নিয়ে কাজ করছিলাম। পরে স্থানীয়দের নানা অভিযোগের কারনে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে আমার ব্যাটারি গলানোর ধোঁয়া জমির ঘাসে মিশে যাওয়ার কারনে গবাদি পশু সেই ঘাস খেয়ে মারা গেছে তা জানা নেই। সীসা কারখানা চালানোর জন্য প্রশাসনিক অনুমতি ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই তো নিয়মনীতির বাহিরে করছে।

জাহেরা রাইচ মিলের মালিক হেমায়েত হোসেন ঝন্টু বলেন, স্থানীয়দের গবাদি পশু মারা যাচ্ছে সেই সাথে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীদের কাছ থেকে পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ব্যাটারি গলানো বন্ধ করে দেই। যেহেতু রাইচ মিল বন্ধ ছিল আর যারা ব্যাটরি গলানোর জন্য (আরিফ হোসেন) বলেছিল কাগজপত্র বা অনুমতি নেয়া আছে প্রশাসনের কাছ থেকে। অনুমতি নেয়া তাই আমি বিশ্বাস করে কাগজপত্র না দেখেই ভাড়া দিয়েছিলাম। বর্তমানে কারখানা বন্ধ আছে ।

খাজুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল বলেন, অবৈধভাবে ব্যাটারি গলিয়ে সীসা উৎপাদন হচ্ছে জানার পর ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফুল ইসলামকে সেই সীসা কারখানায় কয়েকদিন আগে পাঠালে কারখানার সবাই পালিয়ে যায়। আর যাদের গরু-ছাগল মারা গেছে তারা কেউই যোগাযোগ করে নাই। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দিন বলেন, পর্যাপ্ত নিয়মকানুন না মেনে খোলা পরিবেশে ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপাদনের কারনে সেটার ধোঁয়া পরিবেশে যায়। যা পরিবেশ, মানুষ ও গবাদি পশু-পাখির জন্য মারাত্বক ক্ষতি সাধান করে। গত কিছুদিন পূর্বে জেলার ধামুইরহাটে অবৈধভাবে ব্যাটারি গলিয়ে সীসা উৎপাদনের কারনে সেখানকার ধোঁয়া জমির ঘাসে মিশে বিষাক্ত হয়ে যাওয়ায় সেই ঘাস গরু খেয়ে মারা যায়। নওগাঁতে গরুর রোগ নিয়ন্ত্রণ এর জন্য পরীক্ষাগার নাই। পাশ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটে আছে। তবে যেখানে অবৈধভাবে নিয়ম না মেনে ব্যাটারি গলিয়ে সীসা উৎপাদন করা হবে, সেখানকার আশে পাশের জমির ঘাস যদি গবাদিপশু যদি খায় তবে অবশ্যই গবাদিপশুর মারাত্বক ক্ষতি হবে। এমন কি প্রাণহানিও হতে পারে কারন সেটা বিষাক্ত হয়ে যায়।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান মিলন জানান, অবৈধ সীসা কারখানার বিষয়ে জানা নেই। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।