স্টাফ রিপোর্টার,নওগাঁ: টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হেরে গেলেন মৌসুমী আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূ। যৌতুকের দাবিতে গত বুধবার তার ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন স্বামীসহ পরিবারের লোকজন।
অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে স্থানান্তর করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সেখানে সোমবার সকালে মারা যান তিনি। পরে রামেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মৌসুমীর লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারশিমলা গ্রামে। নিহত মৌসুমী আক্তার ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও চকচোঁয়ার গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের চকচোঁয়ার গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে মৌসুমী আক্তারকে প্রায় ১২ বছর আগে একই উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারশিমলা গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে মিজানুর রহমান সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। এ দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহত মৌসুমীর বাবা আফজাল হোসেন জানান, বিয়ের সময় জামাইকে নগদ অর্থসহ বিভিন্ন উপঢৌকনও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকে আরও টাকার দাবিতে জামাই মিজানুর রহমান প্রায়ই মেয়ে ওপর নির্যাতন শুরু করে।
একই দাবিতে গত বুধবার তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করেন জামাইসহ পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে মেয়ে মৌসুমী অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারসহ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান। মান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার বিষয়টি অবহিত নন বলে জানান। তিনি বলেন, ঘটনায় এজাহার পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।