অর্থনীতি ডেস্কঃ‘ দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে তো ছুটছেই। এর মুখে লাগাম দেওয়া যাচ্ছে না।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পদতলে জনজীবন পিষ্ট হয়ে পড়েছে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে দৈনন্দিন পারিবারিক চাহিদা মেটাতে পরিবার প্রধানদের উঠছে নাভিশ্বাস। ’ খুলনা মহানগরীর সিমেন্ট্রি রোডের বাসিন্দা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফুন্নাহার পলাশী এসব কথা বলেন।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা পড়েছি বিপাকে, যারা কারো কাছে যেতে পারে না বলতে পারে না, না পারে বাসা-বাড়িতে কাজ করতে, তাছাড়া রয়েছে করোনার ভয়।
অনেক পরিবারে বাবা-মা ও ছেলেমেয়েসহ কমপক্ষে ৬/৭টি পেট,তাহলে সারাদিনে দাঁড়ায় ১৮ থেকে ২১টি প্লেট, যেখানে ৪০ টাকার নিচে চাল নাই যে চাল অনেকেই খেতে পারে না। আর কাঁচাবাজার!! যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ’
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে হবে ভালো ভালো খেতে হবে। কিন্তু দ্রব্যের যা মূল্য তাতে বেঁচে থাকার জন্য খাবার যোগার করায় দায় হয়ে পড়েছে।
সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী নাসির উদ্দিন বলেন, বাজারে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের উঠেছে নাভিশ্বাস।
পেঁয়াজ-সবজির বাইরে বাজারে এখন চালের দামও প্রতিদিন বাড়ছে। আলুর কেজি ৫০ টাকা। সঙ্গে ভোজ্যতেল, ডিম, আদা, রসুন ও সবজি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চ দাম মানুষকে ভোগাচ্ছে। বাজারে ৫০ টাকা কেজির নিচে সবজি নেই বললেই চলে।
খুলনা শিপইয়ার্ডের কর্মচারী মামুন বলেন, মধ্যবিত্ত জীবনের কি যে কষ্ট তা শুধু মধ্যবিত্তরাই জানে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের মতো স্বল্প বেতনের মধ্যবিত্তরা সবচেয়ে কষ্টে আছে। আমাদের বড় সম্পদ আত্মসম্মান।
না পারি কারও কাছে হাত পাততে। না পারি কষ্টের কথা বলতে। বুকে কষ্ট নিয়ে হলেও সমাজের সব শ্রেণীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয় আমাদের।