ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo মান্দায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক বিধবার বসতঘরের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ Logo মান্দায় অটো চার্জারের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত Logo সোহাগ হত্যা মামলার আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে Logo মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী Logo ১২ দিনের যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত: ইরান Logo ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বললেন—বিমানে বোমা আছে Logo সিলেটে সুরমার পানি বাড়ছে, বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই কুশিয়ারা Logo সোহাগ হত্যার দায়ে টিটন গাজী নামে আরও একজনসহ মোট গ্রেপ্তার ৫ Logo আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকীতে বেরোবি যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা Logo ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় ১২ দিনের রিমান্ডে কালাম-সাহেদ

রিমান্ড শেষে আদালত থেকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে কালাম ও সাহেদকে

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক মাসফিকুল হক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি গুলজার আহমেদ জুয়েল।

তিনি বলেন, দুপুরে আবুল কালাম ও শাহেদকে আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে বিকেলে আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে রিমান্ডে নেয়া হলো।

৪ সেপ্টেম্বর নারী নির্যাতনের দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। ৬ অক্টোবর রাতে দোলোয়ার ও কালামকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন তিনি।

মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেছেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার দু’বার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।

এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয় রমজান মাসের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

বুধবার রাতে উপজেলার একলাশপুর থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়।

এর আগে মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ারের সহযোগী আবুল কালামকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করে রাতেই বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরই মধ্যে মামলার অপর আসামি ইউপি সদস্য মেয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন।

এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দরজা ভেঙে তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন।

একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালান এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন।

এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেন। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে হামলাকারীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ট্যাগস

মান্দায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক বিধবার বসতঘরের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ

গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় ১২ দিনের রিমান্ডে কালাম-সাহেদ

আপডেট সময় ০৬:১৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক মাসফিকুল হক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি গুলজার আহমেদ জুয়েল।

তিনি বলেন, দুপুরে আবুল কালাম ও শাহেদকে আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে বিকেলে আবুল কালামের তিন মামলায় ১০ দিনের ও সাহেদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার তিনজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে রিমান্ডে নেয়া হলো।

৪ সেপ্টেম্বর নারী নির্যাতনের দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। ৬ অক্টোবর রাতে দোলোয়ার ও কালামকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন তিনি।

মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেছেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার দু’বার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।

এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয় রমজান মাসের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

বুধবার রাতে উপজেলার একলাশপুর থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়।

এর আগে মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ারের সহযোগী আবুল কালামকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেফতার করে রাতেই বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরই মধ্যে মামলার অপর আসামি ইউপি সদস্য মেয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন।

এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দরজা ভেঙে তাদের ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন।

একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালান এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন।

এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেন। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে হামলাকারীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।