ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই ছেলের মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার

দুই ছেলের মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার

বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলা উপজেলার মাউলতলা গ্রামে দুই ছেলের মারামারি থামাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে আনিচুর রহমান হাওলাদার (৬৫) নামে এক বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে অভিযুক্ত দুই ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আনিচুর রহমান হাওলাদার উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মাউলতলা গ্রামের মৃত মহব্বত আলীর ছেলে। আটকরা হলেন- আনিচুর রহমান হাওলাদারের মেজো ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫) ও সেজো ছেলে রাকিবুল ইসলাম (১৭)।

স্থানীয়রা জানান, আনিচুর রহমান হাওলাদারের সংসারে অভাব অনটন ছিল। তার চার ছেলে। বড় ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেজো ছেলে জাহিদুল ও সেজো ছেলে রাকিবুলের উপার্জনে সংসার চলতো। তারা দুইজনই অন্যের জমিতে দৈনিক মজুরিতে কৃষি কাজ করেন।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাহিদুল কাজে না গিয়ে ঘোরাফেরা করে কাটিয়ে দেন। রাতে রাকিবুল সারাদিনের আয় দিয়ে এক কেজি চাল ও এক পোয়া ডাল কিনে বাড়ি ফেরেন।

তবে ৬/৭ জনের সংসারে রাতের খাবারের জন্য ওই চাল-ডাল ছিল অপ্রতুল। এ সময় জাহিদ ও রাকিবুলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি লেগে যায়।

বাবা আনিচুর হাওলাদার মারামারি থামাতে এগিয়ে আসেন। এ সময় জাহিদুলের লাঠির আঘাত বাবা আনিচুর হাওলাদারের মাথায় লাগে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিম কুমার সিকদার জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই ভাই জাহিদুল ও রাকিবুলের মধ্যে ঝগড়া-মারামারি হয়।

এ সময় তাদের বাবা আনিচুর হাওলাদার মারামারি থামাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওসি জানান, ঘটনাটি পারিবারিকভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছিল।

পুলিশ জানতে পেরে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে জানাজার প্রস্তুতিকালে জাহিদুল ও রাকিবুলকে আটক করে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস

দুই ছেলের মারামারি থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার

আপডেট সময় ০৮:০০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলা উপজেলার মাউলতলা গ্রামে দুই ছেলের মারামারি থামাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে আনিচুর রহমান হাওলাদার (৬৫) নামে এক বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে অভিযুক্ত দুই ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আনিচুর রহমান হাওলাদার উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মাউলতলা গ্রামের মৃত মহব্বত আলীর ছেলে। আটকরা হলেন- আনিচুর রহমান হাওলাদারের মেজো ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫) ও সেজো ছেলে রাকিবুল ইসলাম (১৭)।

স্থানীয়রা জানান, আনিচুর রহমান হাওলাদারের সংসারে অভাব অনটন ছিল। তার চার ছেলে। বড় ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেজো ছেলে জাহিদুল ও সেজো ছেলে রাকিবুলের উপার্জনে সংসার চলতো। তারা দুইজনই অন্যের জমিতে দৈনিক মজুরিতে কৃষি কাজ করেন।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাহিদুল কাজে না গিয়ে ঘোরাফেরা করে কাটিয়ে দেন। রাতে রাকিবুল সারাদিনের আয় দিয়ে এক কেজি চাল ও এক পোয়া ডাল কিনে বাড়ি ফেরেন।

তবে ৬/৭ জনের সংসারে রাতের খাবারের জন্য ওই চাল-ডাল ছিল অপ্রতুল। এ সময় জাহিদ ও রাকিবুলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি লেগে যায়।

বাবা আনিচুর হাওলাদার মারামারি থামাতে এগিয়ে আসেন। এ সময় জাহিদুলের লাঠির আঘাত বাবা আনিচুর হাওলাদারের মাথায় লাগে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিম কুমার সিকদার জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই ভাই জাহিদুল ও রাকিবুলের মধ্যে ঝগড়া-মারামারি হয়।

এ সময় তাদের বাবা আনিচুর হাওলাদার মারামারি থামাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওসি জানান, ঘটনাটি পারিবারিকভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছিল।

পুলিশ জানতে পেরে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে জানাজার প্রস্তুতিকালে জাহিদুল ও রাকিবুলকে আটক করে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।