ক্রীড়া ডেস্কঃ নাটকীয়তার আর কি বাকি ছিল! যে ম্যাচটি শুরু হলো ডিয়েগো কার্লোসের ফাউলে রোমেলু লুকাকুর পেনাল্টি দিয়ে, শেষ হলো কার্লোসেরই বাইসাইকেল কিক আটকাতে গিয়ে লুকাকুর আত্মঘাতী গোলে।
আর ওই শেষের ঘটনাই শেষ করে দিল ইন্টার মিলানের সব কিছু। ৩৫ মিনিটেই ২-২ গোলে সমতায় নিয়ে আসা ম্যাচটি মিলান হারলো শেষদিকের ওই আত্মঘাতী গোলে।
কোলনে ইউরোপা লিগের রোমাঞ্চকর এক ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেভিয়া। এটি নিয়ে ছয়বার ফাইনাল খেলে সব কটিতেই জিতলো লা লিগার ক্লাবটি।
অথচ ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার মিলানই। পেনাল্টি থেকে মিলানকে এগিয়ে নেন লুকাকু। সেভিয়া অবশ্য লড়াইয়ে ফিরতে একদমই সময় নেয়নি।
পিছিয়ে পড়ার সাত মিনিটের মাথায় (১২তম মিনিটে) তারা গোল ফিরিয়ে দেয় ডাচ ফরোয়ার্ড লুক ডি ইয়ংয়ের কল্যাণে। ৩৩ মিনিটে আরও এক গোল করে সেভিয়াকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইয়ং।
তবে মিলানও হাল ছাড়ার পাত্র নয়। দুই মিনিট পেরোতেই তাদের সমতায় ফেরান ডিয়েগো গডিন। ৩৫ মিনিটেই ম্যাচে ২-২ সমতা! এমন উত্তেজনা ছড়ানো লড়াই অনেকটা সময় ধরে চলেছে।
দ্বিতীয়ার্ধেও সমানে সমানে লড়েছে দুই দল। কিন্তু মিলানের ভাগ্যে যেন শিরোপা লেখাই ছিল না। না হলে ৭৪ মিনিটে এমন দুর্ভাগ্য কেন? হাই বল থেকে কার্লোসের ওভারহেড কিকে পা ধরে দিয়েছিলেন লুকাকু। তাতে বল জড়িয়ে যায় নিজেদেরই জালে।
৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া সেভিয়া রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের পথে আর ভুল করেনি। গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া কোচ হুলেন লুপেতেগুইকে প্রথমবারের মতো শিরোপা এনে দিয়েছেন শিষ্যরা।