সিলেট প্রতিনিধিঃ ২০১৯ সালে সিলেটসহ সারাদেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে যেভাবে ধস নেমেছিল, এবারও সেই একই অবস্থা।
বেশি দামে বিক্রির আশায় যারা শহর, নগর, গ্রাম, গঞ্জ থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন, তারা এখন হতাশায় নিমজ্জিত। কারণ, চামড়ার দাম সিলেটে এবার খুবই কম।
একটি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে! বড় আকারের গরুর একটি চামড়া সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
সারাদেশে প্রতি বর্গফুট খাসির কাচা চামড়া ১৩-১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০-১২ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনিবার (১ আগস্ট) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেটে প্রায় দুই লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। দুপুরের পর থেকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয় নগরের তালতলা,-
রেজিস্ট্রি মাঠ, কিনব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়, আম্বরখানা এবং ভার্তখলা আড়তে। প্রতি বছরই এসব স্থানে হাজার হাজার চামড়ার স্তূপ জমে।
শনিবার বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গরুর চামড়া একেবারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
আর খাসি বা বকরির চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহই দেখাচ্ছেন না। এ কারণে সিলেটে ছাগলের চামড়া পাইকারি ব্যবসায়ীদের অনেকে ফ্রি দিয়েছেন।
মৌসুমী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নগরীর বাসাবাড়িতে গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করে এনেছেন। কোনো কোনো বাসা-বাড়ি থেকে কওমি মাদরাসার ছাত্ররাও চামড়া সংগ্রহ করেছেন।
এ বছর চামড়া সংগ্রহে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কম থাকায় যারা কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটাকুটিতে নিয়োজিত ছিলেন কাজ শেষে তাদেরকেও চামড়া নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
তবে কানাইঘাটে এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দামে চামড়া কিনতে ক্রেতাই পাওয়া যায়নি। এ কারণে অনেকে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন।
পানির দামে গরুর চামড়া বিক্রি হলেও প্রায় একেবারেই ‘নাই মূল্য’ ছিল ছাগলের চামড়ার। অনেক ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী ছাগলের চামড়া এমনিতেই রেখে এসেছেন।