ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় ২ লাখ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ

নওগাঁয় ২ লাখ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: চলতি মৌসুমে বাজারে ধানের দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। বিগত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের ফলন যেমন বেশি হয়েছে তেমনি বাজারে ধানের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুইয়ে মিলে কৃষকরা আমন চাষে ঝুঁকেছেন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং জেলায় নিম্নাঞ্চলের কিছু বন্যার্ত এলাকা ছাড়া মাঠে মাঠে আমন ধান রোপণের উৎসব শুরু হয়েছে।

সময়োপযোগী ও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে কসরত, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে চারা রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলার ১১ উপজেলায় এক লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় হাইব্রিড জাতের৯৫ হেক্টর, উফশী জাতের আট হাজার ৬৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৯৯৫ হেক্টরসহ মোট নয় হাজার ৭৫০ হেক্টর।

রানীনগরে হাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, উফশী জাতের ১৭ হাজার ৮৩০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২৪৫ হেক্টরসহ মোট ১৮ হাজার ৮৫ হেক্টর। আত্রাইয়ে হাইব্রিড জাতের পাঁচ হাজার হেক্টর,

উফশী জাতের তিন হাজার হেক্টর ও স্থানীয় জাতের দুই হাজার ১২৫ হেক্টরসহ পাঁচ হাজার ১৩০ হেক্টর।

বদলগাছীতে হাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, উফশী জাতের ১২ হাজার ২৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের এক হাজার ৫০০ হেক্টরসহ মোট ১৩ হাজার ৭৭০ হেক্টর।

মহাদেবপুরেহাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, উফশী জাতের ১৮ হাজার ২৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১০ হাজার ৩০০ হেক্টরসহ মোট ২৮ হাজার ৩৩৫ হেক্টর।

পত্নীতলায় হাইব্রিড জাতের ২০ হেক্টর, উফশী জাতের ২৫ হাজার ৪৩০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের তিন হাজার হেক্টরসহ মোট ২৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর।

এছাড়া ধামইরহাটে হাইব্রিড জাতের ৭৫ হেক্টর, উফশী জাতের ১৯ হাজার হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৭১৫ হেক্টরসহ মোট ১৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর।

সাপাহারে হাইব্রিড জাতের পাঁচ হেক্টর, উফশী জাতের ১০ হাজার ২০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের দুই হাজার ৫০ হেক্টরসহ মোট ১২ হাজার ৭৫ হেক্টর।

পোরশায় হাইব্রিড জাতের পাঁচ হেক্টর, উফশী জাতের ১৫ হাজার ৪২০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের এক হাজার ২৭০ হেক্টরসহ মোট ১৬ হাজার ৬৯৫ হেক্টর।

মান্দায় হাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, উফশী জাতের ১৩ হাজার ২৮৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের দুই হাজার ৪৬০ হেক্টর। নিয়ামতপুরে হাইব্রিড জাতের পাঁচ হেক্টর ,-

উফশী জাতের ২৫ হাজার ২৪০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের চার হাজার ৪২০ হেক্টরসহ মোট ২৯ হাজার ৬৬৫ হেক্টর।

মহাদেবপুর উপজেলার চকরাজা গ্রামের কৃষক নুর মুহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে আট বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছে।

দামও সন্তোষজনক পেয়েছি। এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। বাকি জমি একটু নিচু হওয়ায় ফেলে রেখেছি। এ বছর আমন চাষে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে।

বৃষ্টির পানিতে জমি চাষাবাদ করা হয়েছে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. রবিআহ নূর আহমেদ বলেন, বাজারে ধানের ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।

চলতি মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ২৫০ হেক্টর, উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের এক লাখ ৬৮ হাজার ১৭০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২৯ হাজার ৮০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চালের আকারে হাইব্রিড প্রতি হেক্টরে চার দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন, উফশী প্রতি হেক্টররে তিন দশমিক ২৩ মেট্রিক টন এবং স্থানীয় প্রতি হেক্টরে এক দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন উৎপাদিত হবে।

সেই হিসেবে জেলায় হাইব্রিড জাতের চাল এক হাজার ১৩ মেট্রিক টন, উফশী জাতের চাল পাঁচ লাখ ৪৩ হাজার ১৮৯ মেট্রিক টন এবং স্থানীয় জাতের চাল ৫৭ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টনসহ সর্বমোট ছয় লাখ এক হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ট্যাগস

নওগাঁয় ২ লাখ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ

আপডেট সময় ০৪:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: চলতি মৌসুমে বাজারে ধানের দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। বিগত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের ফলন যেমন বেশি হয়েছে তেমনি বাজারে ধানের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুইয়ে মিলে কৃষকরা আমন চাষে ঝুঁকেছেন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং জেলায় নিম্নাঞ্চলের কিছু বন্যার্ত এলাকা ছাড়া মাঠে মাঠে আমন ধান রোপণের উৎসব শুরু হয়েছে।

সময়োপযোগী ও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে কসরত, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে চারা রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলার ১১ উপজেলায় এক লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় হাইব্রিড জাতের৯৫ হেক্টর, উফশী জাতের আট হাজার ৬৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৯৯৫ হেক্টরসহ মোট নয় হাজার ৭৫০ হেক্টর।

রানীনগরে হাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, উফশী জাতের ১৭ হাজার ৮৩০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২৪৫ হেক্টরসহ মোট ১৮ হাজার ৮৫ হেক্টর। আত্রাইয়ে হাইব্রিড জাতের পাঁচ হাজার হেক্টর,

উফশী জাতের তিন হাজার হেক্টর ও স্থানীয় জাতের দুই হাজার ১২৫ হেক্টরসহ পাঁচ হাজার ১৩০ হেক্টর।

বদলগাছীতে হাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, উফশী জাতের ১২ হাজার ২৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের এক হাজার ৫০০ হেক্টরসহ মোট ১৩ হাজার ৭৭০ হেক্টর।

মহাদেবপুরেহাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, উফশী জাতের ১৮ হাজার ২৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১০ হাজার ৩০০ হেক্টরসহ মোট ২৮ হাজার ৩৩৫ হেক্টর।

পত্নীতলায় হাইব্রিড জাতের ২০ হেক্টর, উফশী জাতের ২৫ হাজার ৪৩০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের তিন হাজার হেক্টরসহ মোট ২৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর।

এছাড়া ধামইরহাটে হাইব্রিড জাতের ৭৫ হেক্টর, উফশী জাতের ১৯ হাজার হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৭১৫ হেক্টরসহ মোট ১৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর।

সাপাহারে হাইব্রিড জাতের পাঁচ হেক্টর, উফশী জাতের ১০ হাজার ২০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের দুই হাজার ৫০ হেক্টরসহ মোট ১২ হাজার ৭৫ হেক্টর।

পোরশায় হাইব্রিড জাতের পাঁচ হেক্টর, উফশী জাতের ১৫ হাজার ৪২০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের এক হাজার ২৭০ হেক্টরসহ মোট ১৬ হাজার ৬৯৫ হেক্টর।

মান্দায় হাইব্রিড জাতের ১০ হেক্টর, উফশী জাতের ১৩ হাজার ২৮৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের দুই হাজার ৪৬০ হেক্টর। নিয়ামতপুরে হাইব্রিড জাতের পাঁচ হেক্টর ,-

উফশী জাতের ২৫ হাজার ২৪০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের চার হাজার ৪২০ হেক্টরসহ মোট ২৯ হাজার ৬৬৫ হেক্টর।

মহাদেবপুর উপজেলার চকরাজা গ্রামের কৃষক নুর মুহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে আট বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছে।

দামও সন্তোষজনক পেয়েছি। এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। বাকি জমি একটু নিচু হওয়ায় ফেলে রেখেছি। এ বছর আমন চাষে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে।

বৃষ্টির পানিতে জমি চাষাবাদ করা হয়েছে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. রবিআহ নূর আহমেদ বলেন, বাজারে ধানের ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।

চলতি মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ২৫০ হেক্টর, উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের এক লাখ ৬৮ হাজার ১৭০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২৯ হাজার ৮০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চালের আকারে হাইব্রিড প্রতি হেক্টরে চার দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন, উফশী প্রতি হেক্টররে তিন দশমিক ২৩ মেট্রিক টন এবং স্থানীয় প্রতি হেক্টরে এক দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন উৎপাদিত হবে।

সেই হিসেবে জেলায় হাইব্রিড জাতের চাল এক হাজার ১৩ মেট্রিক টন, উফশী জাতের চাল পাঁচ লাখ ৪৩ হাজার ১৮৯ মেট্রিক টন এবং স্থানীয় জাতের চাল ৫৭ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টনসহ সর্বমোট ছয় লাখ এক হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।