সাভার প্রতিনিধিঃ পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজের ভায়রা (স্ত্রীর বোনের স্বামী) গিয়াস উদ্দিন জালালী ও তার প্রাইভেটকারচালক মাহমুদুল হাসানকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গিয়াস ও তার-
গাড়ির চালক মাহমুদুল হাসানকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১।পরে রাতে র্যাব-১ এর কর্মকর্তা সুবেদার কিরণ চন্দ্র সরকার বাদী আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে ওই দু’জনকে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
গিয়াস উদ্দিন জালালীর (৬১) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার রুপসাদী গ্রামে। আর মাহমুদুল হাসান (৪০) শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার ছোট কৃষ্টনগরের ফয়জুল মাতবরের ছেলে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গিয়াসকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানের সিল ও স্বাক্ষরিত প্রিমিয়ার ব্যাংক, গরিবে নেওয়াজ-
এভিনিও শাখার ৪৮টি চেক বইয়ের পাতা ও রিদম ট্রেডিংয়ের নামে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রগতি সরণি শাখার একটি চেক বই পাওয়া যায়।
এছাড়া তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ ২৯-৫০১৫) তল্লাশি করে ১০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২১২০ পিস ইয়াবা পাওয়ায় চালক মাহমুদুল হাসানকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, দুপুরে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আসামি গিয়াস ও তার গাড়ির চালককে আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার-
কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। তিনি বর্তমানে ১০ দিনের রিমান্ডে আছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাপাসিয়ার এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আটক হন রিজেন্টের এমডি মাসুদ।