কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জন রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিন লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুইটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও পাঁচ রাউন্ড পাইপগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তুলাতলীর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জলিলের গোদা নামক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। বিজিবির দাবি, এ ঘটনায় তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুর আলম (৪৫), উখিয়ার বালুখালী এক-
নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গুরা মিয়ার ছেলে হামিদ (২৫) ও কুতুপালং দুই নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নাজির হোসেন (২৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
তিনি জানান, ভোরে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের তুলাতলী জলিলের গোদা নামক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমান-
ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকবে, গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে তুমব্রু বিওপির সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় ১০/১২ জনের একটি দল সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোঁড়েন। এক পর্যায়ে চোরাকারবারীরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় বিজিবির দুই সদস্য আহত হন।
তিনি আরও জানান, পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানো হলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন জন এবং তিন লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও পাঁচ রাউন্ড পাইপগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে উখিয়া থানা পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান কক্সবাজার ৩৪ বিবিজির পরিচালক লে কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।