ক্রীড়া ডেস্কঃ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নিয়োগকৃত লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুসারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে চুক্তিভুক্ত কেউ অন্য কোনো লাভজনক সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না।
যেটাকে এক কথায় বলা হয়, স্বর্থের সংঘাত। সেই স্বার্থের সংঘাতের মতই বিরাট এক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে ভারতীয় দলের অধিনায়ক কোহলির বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, বড়সড় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে তাকে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি যখন বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটিতে ছিলেন, তখনও তার বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
একই অভিযোগ ওঠে রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণের ওপরও। সেই একই অভিযোগ উঠলো এবার বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে।
বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ এনেছেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা।
বিসিসিআইয়ের এথিকস অফিসার তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডি কে জৈনের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন সঞ্জীব।
এর আগে এই সঞ্জীবই শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো তারকাদের বিরুদ্ধেও এই একই ধরনের অভিযোগ এনেছিলেন।
তার করা অভিযোগের ভিত্তিতে শচিন, সৌরভদের বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট উপদেষ্টামণ্ডলীর পদ ছাড়তে হয়। পরে অবশ্য তারা নির্দোষ প্রমাণিত হন।
এবার সঞ্জীব গুপ্তা বিরাট কোহলিকে নিয়ে লাগলেন। তার অভিযোগ, বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বিরাট ক্রীড়া সম্পর্কিত একাধিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন। যা লোধা কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশের বিরোধী।
নিজের অভিযোগ পত্রে বিরাটের দুটি সংস্থার নামও লিখেছেন সঞ্জীব গুপ্তা। তার অভিযোগ এই দুটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে বিসিসিআইয়ের নিয়ম ভেঙেছেন কোহলি।
তিনি লিখেছেন, ‘বিরাট কোহলি একই সঙ্গে দুটি পোস্ট অধিকার করে রেখেছেন। যা বিসিসআইয়ের রুল ৩৮ (৪) এর সম্পূর্ণ বিপরীত। এই রুলটি অনুমোদন দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।’
তবে সঞ্জীব গুপ্তার এই অভিযোগে খুব একটা আমল দিতে নারাজ বিসিসিআই। ভারতীয় বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলছিলেন, কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভারতীয় বোর্ডকে ভিন্ন পথে নেয়ার চেষ্টা করছে।
যারা দেশের সেবা করছেন, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেভাবে এই চিঠিগুলি লেখা হচ্ছে তাতেই স্পষ্ট, এর পিছনে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে।
সঞ্জীব গুপ্তা অবশ্য নিজের লেখা চিঠিতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি কারও প্রতি ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এভাবে একের পর এক অভিযোগ আনছেন না।
তার একটাই উদ্দেশ্য, বিসিসিআইয়ের কাজকর্মের স্বচ্ছতা বজায় থাকুক এবং লোধা কমিশন তথা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা হোক।