স্টাফ রিপোর্টারঃ ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রমের নতুন ধারার এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন তরুণ আইনজীবীরা। একইসঙ্গে ভার্চুয়াল আদালতকে একটি কার্যকর আদালত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার দাবি জানান তারা।
হাইকোর্টের তরুণ আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। এই সিদ্ধান্ত প্রশংসার দাবি রাখে। একইসঙ্গে এই আদালতের কার্যক্রমকে যথাসম্ভব সহজবোধ্য ও অংশগ্রহণমূলক করার দাবি জানান তিনি।
ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নবীন আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বলেন, এটি আরও আগে চালু হওয়া দরকার ছিল। দেরিতে হলেও এটি একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। এখন দ্রুত ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হওয়া দরকার। একইসঙ্গে ভার্চুয়াল কোর্টকে একটি কার্যকর আদালত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
আজ (১১ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের বিচার কার্যক্রম। আসামি, সাক্ষী এবং আইনজীবীদের সশরীরে উপস্থিতি ছাড়াই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম চলবে। সে বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে, গত ৬ মে (বুধবার) ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ তৈরি করতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’-এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা। পরে সেটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করতে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাতে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর মাধ্যমে জারি হয় অধ্যাদেশটি। পরে আইন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে।