ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পণ্যের দাম বেড়েছে রমজানের আগেই, বর্তমানে বাজার স্থিতিশীল

বাজার

অর্থনীতি ডেস্কঃ  রমজান মাস এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে এটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। রমজানে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

তবে ক্রেতা-বিক্রতারা বলছেন, রমজানের আগেই পণ্যের দাম বেড়ে বর্তমানে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।শুক্রবার (০১ মে) মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজান মাসে আগের তুলনায় ছোলা, ডাল, তেল, রসুন, মরিচ, শসা, খেজুর ও বেগুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।

রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহ ব্যাবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে করোনার কারণে ঢাকার লোকজন কম থাকায় গতবারের চেয়ে পণ্যের দাম অনেকটাই কম বলেও জানান তারা।

এ ব্যাপারে তালতলা কাঁচা বাজারের দোকানদার দেলোয়ার জানান, রমজানের আগে থেকেই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। রমজানে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা দাম বাড়তি।

কাঁচা বাজারে দেখা যায় বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে রমজান শুরুর দুইদিন আগেও ২০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি হয়েছে।

কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি রমজানের আগে ছিল ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে যা রমজানের আগে ছিল ২০ টাকা, রসুন দেশি ১২০ টাকা, ইন্ডিয়ান ১৭০ টাকা। আদা খুচরা বাজারে এখনো ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অনেক বিক্রেতাই বলছেন আদা আগের দামে কেনা তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। খেজুর প্রকার ভেদে ১২০০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা দরে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। যা প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।

রমজান শুরুর দুই-চার দিন আগে থেকেই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে যা চলমান রয়েছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার তাজ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. শহিদ।

তিনি  বলেন, ছোলা, ডাল, তেল, বেসন ও মুড়িসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে।

মুশুর ডাল ৯৫ টাকা ইন্ডিয়ান ও দেশিটা ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, যেটা ৭০ ও ১১০ টাকা করে বিক্রি করেছি, মুড়ি ৮০ টাকা করে বিক্রি করছি যেটা রমজানের আগে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতাম।

এছাড়া ছোলা ও বেসনে ১০ টাকা করে দাম বেড়েছে। তবে রমজানের আগে দাম কিছুটা বাড়লেও বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহ ব্যাবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

পণ্যের দাম বেড়েছে রমজানের আগেই, বর্তমানে বাজার স্থিতিশীল

আপডেট সময় ০৪:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০

অর্থনীতি ডেস্কঃ  রমজান মাস এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে এটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। রমজানে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

তবে ক্রেতা-বিক্রতারা বলছেন, রমজানের আগেই পণ্যের দাম বেড়ে বর্তমানে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।শুক্রবার (০১ মে) মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজান মাসে আগের তুলনায় ছোলা, ডাল, তেল, রসুন, মরিচ, শসা, খেজুর ও বেগুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।

রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহ ব্যাবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে করোনার কারণে ঢাকার লোকজন কম থাকায় গতবারের চেয়ে পণ্যের দাম অনেকটাই কম বলেও জানান তারা।

এ ব্যাপারে তালতলা কাঁচা বাজারের দোকানদার দেলোয়ার জানান, রমজানের আগে থেকেই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। রমজানে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা দাম বাড়তি।

কাঁচা বাজারে দেখা যায় বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে রমজান শুরুর দুইদিন আগেও ২০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি হয়েছে।

কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি রমজানের আগে ছিল ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে যা রমজানের আগে ছিল ২০ টাকা, রসুন দেশি ১২০ টাকা, ইন্ডিয়ান ১৭০ টাকা। আদা খুচরা বাজারে এখনো ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অনেক বিক্রেতাই বলছেন আদা আগের দামে কেনা তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। খেজুর প্রকার ভেদে ১২০০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা দরে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। যা প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।

রমজান শুরুর দুই-চার দিন আগে থেকেই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে যা চলমান রয়েছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার তাজ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. শহিদ।

তিনি  বলেন, ছোলা, ডাল, তেল, বেসন ও মুড়িসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে।

মুশুর ডাল ৯৫ টাকা ইন্ডিয়ান ও দেশিটা ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, যেটা ৭০ ও ১১০ টাকা করে বিক্রি করেছি, মুড়ি ৮০ টাকা করে বিক্রি করছি যেটা রমজানের আগে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতাম।

এছাড়া ছোলা ও বেসনে ১০ টাকা করে দাম বেড়েছে। তবে রমজানের আগে দাম কিছুটা বাড়লেও বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহ ব্যাবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি করতে দেখা গেছে।