আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ করোনার কাছে ধরাশায়ী মার্কিন মুলক। প্রতিদিন কর্মক্ষেত্র থেকে ছাঁটাই হচ্ছে নানা পেশাজীবীর কর্মী। প্রতি ৬ জনে একজন কাজ হারাচ্ছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৩০ সালে আর্থিক মন্দায় আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু, এবার করোনার ধাক্কায় বেকারত্বের হার সেই পরিসংখ্যানকেও ছাপিয়ে যাবে।
প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত সারা বিশ্বেই। কিন্তু করোনার হটস্পট খ্যাত আমেরিকার এর প্রকোপ একটু বেশি। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলছে প্রায় গোটা দেশেই।
তার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। কারখানা, অফিস-কাছারি, দোকানপাট, বাজার, শপিংমল বন্ধ থাকায় কাজ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
এই অবস্থা সামাল দিতে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক প্যাকেজ বরাদ্দ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ছোট-বড় কারখানা, ব্যবসায়ী ও হাসপাতালকে এই অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হবে।
পাশাপাশি, লক্ষ লক্ষ কর্মহীন মানুষ সরকারি সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৪৪ লক্ষ মার্কিন নাগরিক ভাতার জন্য আবেদন করেছেন।
দেশের ১০টি বড় শহরে বিগত ৫ সপ্তাহে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ এই ভাতার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। খুব শীঘ্রই সংখ্যাটা ৪ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক টালমাটালের মধ্যে ঘুম ছুটেছে ভিনদেশ থেকে আসা শ্রমিক-কর্মচারীদের। কারখানা থেকে শুরু করে হোটেল, বাড়িতে শিশুদের দেখাশোনা, সেলুনের মতো সমস্ত পরিষেবাই ভিনদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরশীল।
লকডাউনের ধাক্কায় বেশিরভাগেরই চাকরি চলে গিয়েছে। এর মধ্যে সামাজিক সুরক্ষায় নাম নথিভুক্ত থাকা কর্মীরা কিছু সরকারি সাহায্য পাচ্ছে বা পাবেন। কিন্তু সেই সংখ্যা খুবই কম।
এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে শিল্পক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।