স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩১ জনে। আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫০৩ জন।
ফলে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে চার হাজার ৬৮৯ জনে।শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরসহ ২১টি প্রতিষ্ঠানে তিন হাজার ৬৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৭৭৬টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৫০৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৬৮৯ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও চারজন, চারজনই পুরুষ এবং সবাই ঢাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩১ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও চারজন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১১২।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় আসন্ন রমজানে মসজিদে এশা ও তারাবিহ নামাজ আদায়ে যে নির্দেশনা (দুই হাফেজসহ ১২ মুসল্লি নিয়ে জামাত) দিয়েছে সেটা মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা সুলতানা।
ইফতার মাহফিল বা এ ধরনের কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। ডা. নাসিমা বলেন, নিজে সুস্থ থাকবো এবং নিজের পরিবারের সদস্যকে সুস্থ রাখতে এ নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল।
এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সোয়া ২৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ ছুঁই ছুঁই। তবে সাড়ে সাত লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।
বাড়ছে মৃত্যুও।প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপের মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায়, বিশেষত ঘরে রাখা।
কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করেও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না বিধায় করোনাভাইরাসের বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।