স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ : নওগাঁর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে গড়ে তোলা প্রান্তিক খামারিরা গরু নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় আছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে হাটে গরু কেনাবেচা বন্ধ । বিক্রি করতে পারছেন না দুধও। ফলে আর্থিক সংকটে গরুর খাবার যোগানে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের তালিকা করে প্রণোদনা দেয়ার কথা ভাবছে সরকার ।
কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে ৩৫টি গরু দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করছেন নওগাঁর চোক দৌলত এলাকার আব্দুল মান্নান । কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে গরু কেনা বেচার সাথে বন্ধ গরুর দুধ বিক্রিও । এতে আর্থিক সংকটে গরুর খাবার যোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন তার মতো প্রান্তিক খামারিরা । বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে গড়ে তোলা এসব খামারিরা এখন বড় ধরণের লোকসানের দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন । খামারীরা বলেন, দুধ বিক্রি হচ্ছে না । এর ফলে খামারের লোকজন কে টাকা পয়সা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ।
তা ছাড়া গরু দিনে দিনে শুকে যাচ্ছে । খাবার দিতে পারছি না । আসছে কোরবানির ঈদে গরু সংকট দূর করতে ক্ষুদ্র প্রান্তিক এসব গো-খামারিদের রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান খামার মালিক সমিতির।
জেলা ডেইরি ও গো-খামার মালিক সমিতি, সভাপতি সট: মো: ওয়াজেদ আলী বলেন, এ অবস্থায় আমাদের সহযোগিতা করা না হলে আসছে কোরবানী ঈদে গরুর সংকটে পড়তে হবে ।
ক্ষতিগ্রস্থ গো-খামারিদের তালিকা করে সরকার প্রণোদনা দেয়ার কথা ভাবছে বলে জানান জেলা প্রাণি সম্পদের এ কর্মকর্তা মো হেলাল খাঁন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা ছোট বড় ৩০ হাজার গো -খামারে প্রায় ৩ লাখ গরু প্রতিপালন করা হচ্ছে জেলায় ।