ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিংড়ায় শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে সব ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়েছে গাছের গুটি আম। ফুটো হয়ে গেছে শতাধিক বাড়ির টিনের চালা। 

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে তথ্য নিশ্চিত করেন সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি জানান, বুধবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই উপজেলার রামানন্দ খাজুরা, ছাতারদিঘী ও সুকাশ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টিতে এ ক্ষতি হয়। এ বৃষ্টি প্রায় ২০/৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। এতে উপজেলার বেলতা, পাঁচপাকিয়া, মালকুড়, থেলকুড় ও কুচাইকুরি এলাকাগুলোত বেশি ধানের ক্ষতি হয়।

শিলাবৃষ্টিতে ১৫০০-১৮০০ হেক্টর জমির ধানের ২৫-৩০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নে ধানের ক্ষতি হয়েছে ৫০ শতাংশ।

শিলা বৃষ্টির আঘাতে মাটির সঙ্গে নুইয়ে পড়েছে উঠতি ফসল গম, মসুর, ভূট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, ধানসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি। ঝরে পড়েছে সজনে ও গাছের গুটি আম। কোনো কোনো বাগানে আম গাছের ডালপালাও ভেঙে পড়েছে।

এদিকে ফসলের পাশাপাশি কাঁচা ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরের দেয়াল ভেঙে গেছে, উড়ে গেছে ছাউনি। বিশেষ করে শতাধিক বাড়ির টিন ফুটো হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তাদের মাঠের সব ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। মাঠের ফসল বাড়িতে নেওয়ার মতো উপায় নেই। এ ধরনের ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বিগত বছরে কখনো দেখেনি বলে উল্লেখ করেন তারা।

রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন বলেন, এ বছরের শিলাবৃষ্টিতে বহু কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। অনেক দিনমজুরের বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে, ফুটো হয়ে গেছে শতাধিক বাড়ির টিনের চালা।

ছাতারদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রামনগর, ছাতারদিঘী, খন্দকার বড়বাড়ি এলাকায় কৃষকের ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।

ট্যাগস

সিংড়ায় শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

আপডেট সময় ১১:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে সব ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়েছে গাছের গুটি আম। ফুটো হয়ে গেছে শতাধিক বাড়ির টিনের চালা। 

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে তথ্য নিশ্চিত করেন সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি জানান, বুধবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই উপজেলার রামানন্দ খাজুরা, ছাতারদিঘী ও সুকাশ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টিতে এ ক্ষতি হয়। এ বৃষ্টি প্রায় ২০/৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। এতে উপজেলার বেলতা, পাঁচপাকিয়া, মালকুড়, থেলকুড় ও কুচাইকুরি এলাকাগুলোত বেশি ধানের ক্ষতি হয়।

শিলাবৃষ্টিতে ১৫০০-১৮০০ হেক্টর জমির ধানের ২৫-৩০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নে ধানের ক্ষতি হয়েছে ৫০ শতাংশ।

শিলা বৃষ্টির আঘাতে মাটির সঙ্গে নুইয়ে পড়েছে উঠতি ফসল গম, মসুর, ভূট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, ধানসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি। ঝরে পড়েছে সজনে ও গাছের গুটি আম। কোনো কোনো বাগানে আম গাছের ডালপালাও ভেঙে পড়েছে।

এদিকে ফসলের পাশাপাশি কাঁচা ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরের দেয়াল ভেঙে গেছে, উড়ে গেছে ছাউনি। বিশেষ করে শতাধিক বাড়ির টিন ফুটো হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তাদের মাঠের সব ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। মাঠের ফসল বাড়িতে নেওয়ার মতো উপায় নেই। এ ধরনের ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বিগত বছরে কখনো দেখেনি বলে উল্লেখ করেন তারা।

রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন বলেন, এ বছরের শিলাবৃষ্টিতে বহু কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। অনেক দিনমজুরের বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে, ফুটো হয়ে গেছে শতাধিক বাড়ির টিনের চালা।

ছাতারদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রামনগর, ছাতারদিঘী, খন্দকার বড়বাড়ি এলাকায় কৃষকের ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।