ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ডিএনসিসিকে তাবিথের চিঠি

বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল

স্টাফ রিপোর্টারঃ   করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং অভাবী মানুষের সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভূমিকা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে কর্পোরেশনকে পরামর্শ দিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল।

তিনি মনে করেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে সিটি কর্পোরেশনকে ঝুঁকি নিয়ে অতিসত্ত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

রবিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ জামাল মোস্তফাকে এ চিঠি দেন তিনি। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আউয়াল।

চিঠিতে তাবিথ বলেন, অভাবী মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন দুইটি হটলাইন নাম্বার চালু করলেও দরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষ সেটাতে সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন না। যে কয়েকজন হটলাইনে কথা বলেছেন, তাদের কাছে ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর চাওয়া হয়েছে। কিন্তু খাদ্য সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। জাতীয় সংকট মুহূর্তে সিটি কর্পোরেশনকে মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বর্তমান বাস্তবতায় সিটি কর্পোরেশনের কী করা উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, হটলাইনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কতগুলো ফোন গ্রহণ করা হয়েছে এবং কতজনকে সহায়তা করা হয়েছে, সে তথ্য প্রতিদিন ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। খাদ্য সহায়তার জন্য উত্তর সিটির জোনাল অফিসগুলোতে ফুড ব্যাংক গড়ে তুলে এস্টেট অফিসার, এনজিও ফাউন্ডেশন এবং কর্পোরেট রিটেইল অফিসারদের সহায়তা নিতে হবে। যেসব নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করতে ইচ্ছুক তাদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন বাজার এবং আবাসিক এলাকার প্রবেশদ্বার ও বের হওয়ার পথসহ প্রত্যেক এলাকায় হাত ধোয়া কেন্দ্র স্থাপন এবং সেখানে তাপমাত্রাও নির্ণয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

তাবিথ আউয়াল আরও বলেন, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিটি কর্পোরেশনের সব কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা উচিত।

হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য এবং আবাসিক এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ ও ধ্বংসে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ব্যবহৃত সুঁচ, গ্লাভস, মাস্ক ও পিপিই যেন অবৈধভাবে আবার ব্যবহারে সুযোগ তৈরি না হয়।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ডিএনসিসিকে তাবিথের চিঠি

আপডেট সময় ১২:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ   করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং অভাবী মানুষের সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভূমিকা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে কর্পোরেশনকে পরামর্শ দিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল।

তিনি মনে করেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে সিটি কর্পোরেশনকে ঝুঁকি নিয়ে অতিসত্ত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

রবিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ জামাল মোস্তফাকে এ চিঠি দেন তিনি। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আউয়াল।

চিঠিতে তাবিথ বলেন, অভাবী মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন দুইটি হটলাইন নাম্বার চালু করলেও দরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষ সেটাতে সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন না। যে কয়েকজন হটলাইনে কথা বলেছেন, তাদের কাছে ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর চাওয়া হয়েছে। কিন্তু খাদ্য সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। জাতীয় সংকট মুহূর্তে সিটি কর্পোরেশনকে মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বর্তমান বাস্তবতায় সিটি কর্পোরেশনের কী করা উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, হটলাইনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কতগুলো ফোন গ্রহণ করা হয়েছে এবং কতজনকে সহায়তা করা হয়েছে, সে তথ্য প্রতিদিন ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। খাদ্য সহায়তার জন্য উত্তর সিটির জোনাল অফিসগুলোতে ফুড ব্যাংক গড়ে তুলে এস্টেট অফিসার, এনজিও ফাউন্ডেশন এবং কর্পোরেট রিটেইল অফিসারদের সহায়তা নিতে হবে। যেসব নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করতে ইচ্ছুক তাদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন বাজার এবং আবাসিক এলাকার প্রবেশদ্বার ও বের হওয়ার পথসহ প্রত্যেক এলাকায় হাত ধোয়া কেন্দ্র স্থাপন এবং সেখানে তাপমাত্রাও নির্ণয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

তাবিথ আউয়াল আরও বলেন, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিটি কর্পোরেশনের সব কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা উচিত।

হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য এবং আবাসিক এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ ও ধ্বংসে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ব্যবহৃত সুঁচ, গ্লাভস, মাস্ক ও পিপিই যেন অবৈধভাবে আবার ব্যবহারে সুযোগ তৈরি না হয়।